Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্তৃত্ববাদী শাসক চিরকাল টিকে থাকে না : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক চিরকাল টিকে থাকে না। আস্তে আস্তে তারা বিলীন হয়ে যায়। এই সরকারও বিলীন হয়ে যাবে। দেশের জনগণ তাদেরকে চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকতে দেবেনা।

সোমবার (১২ জুন) জাতীয় ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এর উপর হামলার প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসুচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে রাজপথে তুমুল গণ আন্দোলন ছাড়া অন্য কোন পথ নাই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া দেশে রাজনীতি যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকটের সমাধান হবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দুদু বলেন, যারা হাবিবুর রহমান হাবিব এর উপর হামলা করেছে অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের উপর খাগড়াছড়িতে হামলা করা হয়েছে। এই সরকার তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা নির্যাতন করে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তথাকথিত মিথ্যা মামলায় পাঁচ বছর যাবত জেলখানায় বন্দি। আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান এর নামে তথাকথিত মিথ্যা মামলা সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায় বন্দি আছে আমি তাদের মুক্তি দাবি করছি।

দুদু বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ও স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যেখানে আপনি হাত দিলেও আপনার হাত পুরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দেশের মানুষের এখন বেঁচে থাকাই কঠিন। এই সরকারি দল, সরকারের লোকজন সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী বলেছে এমপি মন্ত্রীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এরপরে আর বলার কি আছে?

কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি’র ২০ দলীয় জোটের একটি দলকে গত ১০ বছরে কোন সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে আইন মন্ত্রীর জ্ঞান হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাদেরকে বিচারে এখনো দণ্ডিত করা হয় নাই তাদের অধিকার আছে সমাবেশ করার। নতুন করে খেলা শুরু করতে চাচ্ছেন খেলেন তবে আমাদের কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্য গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এই স্বাধীনতা গণতন্ত্র মানুষের অধিকার যতদিন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আর মানুষের এই অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এই সরকারের একজন সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু বলেছেন বিএনপি’র সাথে সংলাপ করতে তাদের কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা তো আপনাদের সাথে সংলাপ করতে চাই নাই। আবার ওবায়দুল কাদের বললেন তারা সংলাপের কথা বলে নাই। একজন সংলাপের কথা বলে আর একজন না করে। তারা একটা তামাশা সৃষ্টি করেছে। তারা জনগণের সাথে তামাশা করছে। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলেছি এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধয়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সংলাপ পরের বিষয়।

জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দ এর সভাপতিতে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

কর্তৃত্ববাদী শাসক চিরকাল টিকে থাকে না : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৪:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক চিরকাল টিকে থাকে না। আস্তে আস্তে তারা বিলীন হয়ে যায়। এই সরকারও বিলীন হয়ে যাবে। দেশের জনগণ তাদেরকে চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকতে দেবেনা।

সোমবার (১২ জুন) জাতীয় ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এর উপর হামলার প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসুচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে রাজপথে তুমুল গণ আন্দোলন ছাড়া অন্য কোন পথ নাই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া দেশে রাজনীতি যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকটের সমাধান হবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দুদু বলেন, যারা হাবিবুর রহমান হাবিব এর উপর হামলা করেছে অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের উপর খাগড়াছড়িতে হামলা করা হয়েছে। এই সরকার তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা নির্যাতন করে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তথাকথিত মিথ্যা মামলায় পাঁচ বছর যাবত জেলখানায় বন্দি। আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান এর নামে তথাকথিত মিথ্যা মামলা সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায় বন্দি আছে আমি তাদের মুক্তি দাবি করছি।

দুদু বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ও স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যেখানে আপনি হাত দিলেও আপনার হাত পুরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দেশের মানুষের এখন বেঁচে থাকাই কঠিন। এই সরকারি দল, সরকারের লোকজন সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী বলেছে এমপি মন্ত্রীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এরপরে আর বলার কি আছে?

কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি’র ২০ দলীয় জোটের একটি দলকে গত ১০ বছরে কোন সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে আইন মন্ত্রীর জ্ঞান হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাদেরকে বিচারে এখনো দণ্ডিত করা হয় নাই তাদের অধিকার আছে সমাবেশ করার। নতুন করে খেলা শুরু করতে চাচ্ছেন খেলেন তবে আমাদের কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্য গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এই স্বাধীনতা গণতন্ত্র মানুষের অধিকার যতদিন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আর মানুষের এই অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হবে।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এই সরকারের একজন সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু বলেছেন বিএনপি’র সাথে সংলাপ করতে তাদের কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। আমরা তো আপনাদের সাথে সংলাপ করতে চাই নাই। আবার ওবায়দুল কাদের বললেন তারা সংলাপের কথা বলে নাই। একজন সংলাপের কথা বলে আর একজন না করে। তারা একটা তামাশা সৃষ্টি করেছে। তারা জনগণের সাথে তামাশা করছে। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলেছি এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধয়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সংলাপ পরের বিষয়।

জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দ এর সভাপতিতে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।