Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যান-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও ১৯ জন আহত হয়েছে।

রোববার (১১ জুন) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোড়কানন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- সদর দক্ষিণ উপজেলার আলী আহমেদের ছেলে মোর্শেদ আলম (২৭), আবদুর রহিমের ছেলে ফয়সাল (১৬), মোহন মিয়ার ছেলে শাহীন (১৫) এবং শাহ আলমের ছেলে সাকিব (১৬)। তাদের মধ্যে মোর্শেদ পিকআপ চালক। বাকি তিনজন স্কুলের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সিমরান হাসান সিফাত বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমি ফয়সালের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। সে তখন আমার দোকান থেকে দুই মিনিট সামনে পিকআপে ছিল। ফোনে কথা বলতে বলতে শুনলাম আওয়াজ। পরে সেখান গিয়ে দেখলাম কেউ চাকার ভিতরে ঢুকে গেছে। কেউ গাড়ির নিচে পড়ে আছে। ফয়সালের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সবাই এদিক ওদিক পড়ে আছে। রক্তে কাউকেই চেনা যাচ্ছিল না। আমি ফয়সালকে টেনে বের করার চেষ্টা করলাম। সে তখনও বেঁচে, তার ব্লিডিং হচ্ছিল। ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯ এ কল দিলাম। পাঁচ মিনিট পর সবাই আসলো।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা যায়। দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হলে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নাহিদ নামের একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিচ্ছে।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্টোপথে পিকআপে করে কিশোররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) খেলার উদ্দেশে উপজেলা পরিষদ মাঠের দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বাহন দুটি সড়কের পাশে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যান-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪

প্রকাশের সময় : ০২:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও ১৯ জন আহত হয়েছে।

রোববার (১১ জুন) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোড়কানন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- সদর দক্ষিণ উপজেলার আলী আহমেদের ছেলে মোর্শেদ আলম (২৭), আবদুর রহিমের ছেলে ফয়সাল (১৬), মোহন মিয়ার ছেলে শাহীন (১৫) এবং শাহ আলমের ছেলে সাকিব (১৬)। তাদের মধ্যে মোর্শেদ পিকআপ চালক। বাকি তিনজন স্কুলের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সিমরান হাসান সিফাত বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমি ফয়সালের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। সে তখন আমার দোকান থেকে দুই মিনিট সামনে পিকআপে ছিল। ফোনে কথা বলতে বলতে শুনলাম আওয়াজ। পরে সেখান গিয়ে দেখলাম কেউ চাকার ভিতরে ঢুকে গেছে। কেউ গাড়ির নিচে পড়ে আছে। ফয়সালের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সবাই এদিক ওদিক পড়ে আছে। রক্তে কাউকেই চেনা যাচ্ছিল না। আমি ফয়সালকে টেনে বের করার চেষ্টা করলাম। সে তখনও বেঁচে, তার ব্লিডিং হচ্ছিল। ব্যর্থ হয়ে ৯৯৯ এ কল দিলাম। পাঁচ মিনিট পর সবাই আসলো।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা যায়। দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হলে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নাহিদ নামের একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিচ্ছে।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্টোপথে পিকআপে করে কিশোররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) খেলার উদ্দেশে উপজেলা পরিষদ মাঠের দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে বাহন দুটি সড়কের পাশে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় পিকআপটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যায়।