মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বড়কালিপুড়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বরযাত্রীর লঞ্চে ডাকাতি করেছে ডাকাতদল।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দির তেতৈতলা ঘাট থেকে বরযাত্রীবাহী লঞ্চটি একই উপজেলার বড়কালিপুরা গ্রামে যাওয়ার পথে মেয়ের বাড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া উপজেলার তেতুলতলা গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র মিরাজের সাথে একই উপজেলার বড়কালী পুরা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে আছিয়া আক্তারের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নৌকাডুবির শংকা : যমুনায় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল
বর মিরাজ জানান, আমাদের লঞ্চটি চর কালিপুরায় পৌঁছালে স্পিডবোটযোগে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল এসে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমাদের লঞ্চটির ওপর হামলা চালায়।
তখন তারা স্পিডবোট থেকে লঞ্চের ভিতর ঢুকে পড়ে। লঞ্চে থাকা মহিলা, শিশু, বৃদ্ধা কাউকে বাদ দেয়নি তারা। সবাইকে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পর লাথি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ডাকাতি সম্পন্ন করে ডাকাতদল নদী পথে চলে যায়।
বরযাত্রী লঞ্চে থাকা ভুক্তভোগী রোজিনা আক্তার বলেন, লঞ্চে ৬০ থেকে ৭০ জন নারী পুরুষ ছিল। ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল স্পিড বোটযোগে আমাদের লঞ্চকে আটক করে। ডাকাত দলের সবারই হাতে পিস্তল, রামদা ও অস্ত্র ছিল। আমার সাথে থাকা ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ লঞ্চে থাকা সবারই মোবাইল এবং নগদ টাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিয়ে গেছে তারা।
অপর এক যাত্রী পান্না মিয়া বলেন, বড়কালিপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে প্রত্যেক ডাকাতের হাতে রামদা, রাইফেল ও পিস্তল অস্ত্র ছিল। লঞ্চের চালককে আটক করে দুই ডাকাত। বাকিরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গালি দিয়ে প্রায় ২২ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩০ থেকে ৩৫টি মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ইনচার্জ মো. হান্নান মিয়া জানান, চাঁদপুর নিম্ন অঞ্চল থেকে এসে সুযোগ বুঝে একটি চক্র এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতলব নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আবুতাহের জানান, ঘটনার পর অবগত হয়ে পরিদর্শনে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি 

























