Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায় নতুন ষড়যন্ত্র করার জন্য। নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য তারা হইচই করতে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বৈন্য-কুশুরা পুলিশ ক্যাম্প উদ্বোধন ও মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ যোগ দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সব সময় আমরা দেখেছি ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন এলে এক হয়ে যায় আরেকটি নতুন ষড়যন্ত্র করার জন্য। নির্বাচন এলে অনেক দল সেই সময় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে না এবং নির্বাচন যেন না হয় তার জন্য তারা হইচই করতে থাকে। নির্বাচন এলেই অনেক স্রোত; কাউন্টার স্রোত আসে। যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় না। তাই এই কাজগুলো করে।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় দেখে আসছি ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন আসলেই এক হয়ে যায় আরেকটা নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনা শুধু আমাদের নেতা নয়, তিনি বিশ্বনন্দিত নেতা। তিনি কারও রক্তচক্ষু কিংবা ধমকে মাথা নত করেন না বা ঘাবড়ে যান না। তিনি সব সময় মাথা উঁচু করে চলতে শিখেছেন এবং আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে শেখার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় একদম শেষ মুহূর্তে আমাদের বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রচেষ্টা হয়েছিল। সেদিন যে বন্ধুরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তারা হলো আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আমাদের শুরুতে যারা রক্ত চক্ষু দেখিয়েছিলেন, তারা আজ নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছেন।

তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তারা আজকে একত্রিত হয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছেন আবারও নাকি ক্ষমতায় আসবেন। কী করে আসবেন? মানুষের ভোট পেতে হবে তো। যেখানে জনগণ এক কথায় বলছেন শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাহলে কীভাবে আসবেন, ভোটেই তো আসবেন না আপনারা। তারা ভোট বিশ্বাস করেন না, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের যদি কেউ গদিটা পাইয়ে দেয় সেই ধরনের ষড়যন্ত্র তারা করে চলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করেন। তাই কোনো অপশক্তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রাখে না।

নির্বাচনের জন্য মানুষ উন্মুখ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, এদেশের মানুষও উন্মুখ হয়ে বসে আছে, নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন শিগগিরই নির্বাচনের ডাক দেবে। সেই সময় আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমাদের আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

জামায়াত ইসলামের কর্মসূচির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াত সব সময় তাদের অনুষ্ঠানাদি করত। জামায়াতকে এবার বলে দেওয়া হয়েছে ওই জায়গায় অনুষ্ঠান করলে একটা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য তারা যেন অন্য কোনো ভেন্যু বেছে নেয়। তারা ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় গিয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, কিছু কিছু লোক বলছেন আমরা বিদ্যুৎ পাই না। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছি। আমাদের এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের যেটা চাহিদা সেটা আমরা দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে আমরা বিদ্যুতায়ন করেছি। এখন বিদ্যুতের ঘাটতি কেন প্রশ্ন আসতে পারে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এটার মধ্যে আমাদের হাত নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের বিদ্যুৎ তৈরির উপাদানগুলোর পরিবহন ব্যয় তিন-চারগুণ বেড়েছে। এলএমজির দাম তিন-চারগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জুনের শেষে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু অন্ধকার দিনের কথা ভুলি নাই। আমাদের যদি দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো তাহলে ছয় ঘণ্টা থাকত না। কোনো গ্রামে বিদ্যুৎ যায় নাই। এখন কিন্তু দুর্গম চরসহ সব জায়গায় বিদ্যুৎ আমরা দিয়েছি। সেখানে বসে ইন্টারনেটে ছেলেমেয়েরা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। এটাই তো আমাদের বাংলাদেশের। সেই জায়গাতেই খেয়াল করে আমি আপনাদেরকে বলবো এটা একটা সাময়িক সমস্যা। অবশ্যই যে বিদ্যুৎ আমরা ঘরে ঘরে দিয়েছি সেটা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের দ্রব্যমূল্যের দাম অবশ্যই কিছু বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিতে দিতে আমাদের অর্থনীতিতে একটু চাপ পড়েছে। তারপরও আমাদের কোনোটারই কমতি নেই। আমরা আজকে সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব কিছুই করে দেখিয়েছেন। আমরা আগামীতেও দেখিয়ে দেব যে আমরা পারি। বাঙালি জাতি মাথা নত করার জাতি নয়, বাঙালি সব সময় মাথা উঁচু করে চলবে এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ, সাবেক সচিব সোহরাব হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে যায় নতুন ষড়যন্ত্র করার জন্য। নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য তারা হইচই করতে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বৈন্য-কুশুরা পুলিশ ক্যাম্প উদ্বোধন ও মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ যোগ দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সব সময় আমরা দেখেছি ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন এলে এক হয়ে যায় আরেকটি নতুন ষড়যন্ত্র করার জন্য। নির্বাচন এলে অনেক দল সেই সময় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে না এবং নির্বাচন যেন না হয় তার জন্য তারা হইচই করতে থাকে। নির্বাচন এলেই অনেক স্রোত; কাউন্টার স্রোত আসে। যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় না। তাই এই কাজগুলো করে।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় দেখে আসছি ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন আসলেই এক হয়ে যায় আরেকটা নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য। শেখ হাসিনা শুধু আমাদের নেতা নয়, তিনি বিশ্বনন্দিত নেতা। তিনি কারও রক্তচক্ষু কিংবা ধমকে মাথা নত করেন না বা ঘাবড়ে যান না। তিনি সব সময় মাথা উঁচু করে চলতে শিখেছেন এবং আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে শেখার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় একদম শেষ মুহূর্তে আমাদের বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রচেষ্টা হয়েছিল। সেদিন যে বন্ধুরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তারা হলো আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আমাদের শুরুতে যারা রক্ত চক্ষু দেখিয়েছিলেন, তারা আজ নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছেন।

তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তারা আজকে একত্রিত হয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছেন আবারও নাকি ক্ষমতায় আসবেন। কী করে আসবেন? মানুষের ভোট পেতে হবে তো। যেখানে জনগণ এক কথায় বলছেন শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। তাহলে কীভাবে আসবেন, ভোটেই তো আসবেন না আপনারা। তারা ভোট বিশ্বাস করেন না, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের যদি কেউ গদিটা পাইয়ে দেয় সেই ধরনের ষড়যন্ত্র তারা করে চলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করেন। তাই কোনো অপশক্তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রাখে না।

নির্বাচনের জন্য মানুষ উন্মুখ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, এদেশের মানুষও উন্মুখ হয়ে বসে আছে, নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন শিগগিরই নির্বাচনের ডাক দেবে। সেই সময় আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আমাদের আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

জামায়াত ইসলামের কর্মসূচির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াত সব সময় তাদের অনুষ্ঠানাদি করত। জামায়াতকে এবার বলে দেওয়া হয়েছে ওই জায়গায় অনুষ্ঠান করলে একটা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য তারা যেন অন্য কোনো ভেন্যু বেছে নেয়। তারা ভেন্যু পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় গিয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, কিছু কিছু লোক বলছেন আমরা বিদ্যুৎ পাই না। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছি। আমাদের এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের যেটা চাহিদা সেটা আমরা দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে আমরা বিদ্যুতায়ন করেছি। এখন বিদ্যুতের ঘাটতি কেন প্রশ্ন আসতে পারে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এটার মধ্যে আমাদের হাত নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের বিদ্যুৎ তৈরির উপাদানগুলোর পরিবহন ব্যয় তিন-চারগুণ বেড়েছে। এলএমজির দাম তিন-চারগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জুনের শেষে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু অন্ধকার দিনের কথা ভুলি নাই। আমাদের যদি দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো তাহলে ছয় ঘণ্টা থাকত না। কোনো গ্রামে বিদ্যুৎ যায় নাই। এখন কিন্তু দুর্গম চরসহ সব জায়গায় বিদ্যুৎ আমরা দিয়েছি। সেখানে বসে ইন্টারনেটে ছেলেমেয়েরা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। এটাই তো আমাদের বাংলাদেশের। সেই জায়গাতেই খেয়াল করে আমি আপনাদেরকে বলবো এটা একটা সাময়িক সমস্যা। অবশ্যই যে বিদ্যুৎ আমরা ঘরে ঘরে দিয়েছি সেটা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের দ্রব্যমূল্যের দাম অবশ্যই কিছু বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিতে দিতে আমাদের অর্থনীতিতে একটু চাপ পড়েছে। তারপরও আমাদের কোনোটারই কমতি নেই। আমরা আজকে সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব কিছুই করে দেখিয়েছেন। আমরা আগামীতেও দেখিয়ে দেব যে আমরা পারি। বাঙালি জাতি মাথা নত করার জাতি নয়, বাঙালি সব সময় মাথা উঁচু করে চলবে এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ, সাবেক সচিব সোহরাব হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।