নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বাংলাদেশে যাদের চা খাওয়ার পয়সা ছিল না, তারা এখন ব্যাংকের মালিক। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেলের দাম বহুগুণ বেড়েছে। দেশে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে কয়লার অভাবে। অথচ সরকার সংসদে বলেছিল দেশে বিদ্যুতের কোনো অভাব নেই। বিদ্যুতের এখন কি অবস্থা? সারাক্ষণ লোডশেডিং থাকে। এই সরকার সর্বদা মিথ্যা কথা বলে। দেশের মানুষ এদের ছল-চাতুরী এবং মিথ্যা জেনে গেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর বিশ্বাস করে না।
শুক্রবার (৯ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কর্মসূচিতে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে জিয়া নাগরিক সংসদ।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
জয়নাল আবেদিন ফারুক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের আর কোনো মামলা দেওয়া হবে না।’ কিন্তু সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫২ হাজার মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম নীরব, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মঞ্জু, শেখ রবিউল আলমসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। তাদের সকলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এই সরকার নানাভাবে কটূক্তি করে। অথচ জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং তাকে বাংলাদেশের রাজনীতি করার সকল সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছিলেন। আজ এই সরকার সেটা ভুলে গেছে।
জিয়া নাগরিক সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ওহিদুলের সঞ্চালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন, ওলাম দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।