Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশেষ নামাজ আদায়ের পর দিনাজপুরে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

দিনাজপুরে কয়েক দিনের টানা তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় স্থানীয় মুসল্লিরা বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন। অবশেষে এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে দিনাজপুরে। দুপুরে জেলায় প্রায় ১৭ মিনিট ধরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই কিছুটা স্বস্তি বোধ করেছেন জেলার মানুষ। তবে জেলার সবখানেই বৃষ্টিপাত হয়নি।

বুধবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় দিনাজপুর ৩নং উপশহরের মিতালী মাঠে প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লি এই নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

নামাজ আদায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই দিনাজপুর সদরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

জেলার বালুবাড়ী এলাকার সিফাত ইসলাম বলেন, দুপুরে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। আশা করেছিলাম বৃষ্টি স্থায়ী হবে। কিন্তু তা হয়নি। তবে যা হয়েছে তাতে আমাদের মধ্যে একটু স্বস্তি এসেছে। জানি না এই স্বস্তি কতক্ষণ থাকবে। কারণ বৃষ্টির পর আবারও প্রখর রোদ দেখা দিয়েছে।

একই এলাকার মিরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেও ভালোই লেগেছে। আমরা কয়েকদিন ধরেই আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনা করেছিলাম। আল্লাহ আমাদের একটু বৃষ্টিপাত দিয়েছে।

জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দুপুরে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে আমার মন ভালো হয়ে গেছে। বৃষ্টি আরও কিছু সময় স্থায়ী হলে ভালো হতো। আশা করছি আবারও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং আল্লাহ আমাদের এই প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি দেবেন।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি খবর শুনেছি যে আগামী ১২ তারিখের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে দুপুরে বৃষ্টি হয়ে গেলো। সকল প্রাণীর মধ্যেই স্বস্তি এসেছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার (৭ জুন) বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ০১ (এক) মিলিমিটার।

বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি রবিউল হক বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়রা মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করেন। আল্লাহর রহমতে বিকেল ৩টার দিকে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার পর অনেকটা তাপমাত্রা কমে গেছে।

নামাজে ইমামতি করা মাওলানা অলিউল্লাহ সিরাজী বলেন, দিনাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছিল। বাড়ির বাহিরে বের হওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। তাই এলাকার সবাই মিলে আজ সকালে খোলা মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

বিশেষ নামাজ আদায়ের পর দিনাজপুরে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

দিনাজপুরে কয়েক দিনের টানা তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় স্থানীয় মুসল্লিরা বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন। অবশেষে এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে দিনাজপুরে। দুপুরে জেলায় প্রায় ১৭ মিনিট ধরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই কিছুটা স্বস্তি বোধ করেছেন জেলার মানুষ। তবে জেলার সবখানেই বৃষ্টিপাত হয়নি।

বুধবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় দিনাজপুর ৩নং উপশহরের মিতালী মাঠে প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লি এই নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

নামাজ আদায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই দিনাজপুর সদরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

জেলার বালুবাড়ী এলাকার সিফাত ইসলাম বলেন, দুপুরে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। আশা করেছিলাম বৃষ্টি স্থায়ী হবে। কিন্তু তা হয়নি। তবে যা হয়েছে তাতে আমাদের মধ্যে একটু স্বস্তি এসেছে। জানি না এই স্বস্তি কতক্ষণ থাকবে। কারণ বৃষ্টির পর আবারও প্রখর রোদ দেখা দিয়েছে।

একই এলাকার মিরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেও ভালোই লেগেছে। আমরা কয়েকদিন ধরেই আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনা করেছিলাম। আল্লাহ আমাদের একটু বৃষ্টিপাত দিয়েছে।

জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দুপুরে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে আমার মন ভালো হয়ে গেছে। বৃষ্টি আরও কিছু সময় স্থায়ী হলে ভালো হতো। আশা করছি আবারও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং আল্লাহ আমাদের এই প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি দেবেন।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি খবর শুনেছি যে আগামী ১২ তারিখের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে দুপুরে বৃষ্টি হয়ে গেলো। সকল প্রাণীর মধ্যেই স্বস্তি এসেছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার (৭ জুন) বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ০১ (এক) মিলিমিটার।

বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি রবিউল হক বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়রা মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করেন। আল্লাহর রহমতে বিকেল ৩টার দিকে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার পর অনেকটা তাপমাত্রা কমে গেছে।

নামাজে ইমামতি করা মাওলানা অলিউল্লাহ সিরাজী বলেন, দিনাজপুরে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছিল। বাড়ির বাহিরে বের হওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। তাই এলাকার সবাই মিলে আজ সকালে খোলা মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।