নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১ জুন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত গেজেট বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদের পুনর্র্নিধারিত নির্বাচনি এলাকাসমূহের প্রাথমিক তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশ হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ৩ এর অধীন পুনর্র্নিধারিত নির্বাচনি এলাকা বিষয়ে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত আহ্বান করা হয়। পরে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রাপ্ত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামতের ওপর প্রকাশ্য শুনানি গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত পর্যালোচনা করে এবং শুনানিকালে উপস্থাপিত তথ্য ও যুক্তিতর্ক বিবেচনায় প্রাথমিক তালিকায় প্রকাশিত নির্বাচনি এলাকার প্রয়োজনীয় সংশোধন সংযুক্ত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের পুনর্র্নিধারণ সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা অল্প কয়েকটা আসনের সীমানা পরিবর্তন করেছি। সীমানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো ইউনিয়ন ভাগ হয়নি, তবে উপজেলা ভাগ হয়েছে।
তিনি বলেন, সীমানা পুনর্র্নিধারণের জন্য যে আবেদনগুলো এসেছিল, সেগুলো শুনানি করে যাদের বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে, তাদেরটাই আমলে নেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকটা আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, ‘অল্প’ কয়েকটা আসনে সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সেই সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল— ১৯ মার্চের মধ্যে আপত্তি থাকলে উত্থাপন করতে হবে। এতে ৩৮টি আসনে মোট ১৮৬টি দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়ে। পরে ৩ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চারটি পৃথক দিনে আবেদনগুলোর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। এতে ‘অল্প’ কয়েকটি আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ করা হয়।