নিজস্ব প্রতিবেদক :
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় পড়াচাপা বাজারের পাশে মরা আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর সেতুটির অবস্থান। বড়চাপা-চরমান্দালিয়া ভায়া কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কের এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেতুটির দুই পাশের রেলিংয়ের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। আর যেটুকু আছে তার অবস্থাও নাজুক। সেতুটির উপরের ঢালাই ভেঙে যাওয়ায় শুধু এক পাশ দিয়ে সেতু পার হতে হচ্ছে পথচারীদের। যার কারণে দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যা নিয়ে বিপাকে আছে তিন ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সেতুর উপর দিয়ে দৈনিক সহস্রাধিক সিএনজি এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পোল্ট্রি পণ্য পিকআপ, কৃষি পণ্যবাহী ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল এবং বাইসাইকেল যাতায়াত করে। এছাড়াও কয়েক’শ সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে এই সেতু পার হয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় বড়চাপা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়চাপা কলেজসহ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই সেতু পার হয়ে পড়াশোনা করতে যায়। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে যোগাযোগের জন্য যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে কমপক্ষে তিন ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে।
মজিবুর নামে এক রিকশাচালক বলেন, সেতুটির এক পাশের অংশ ভেঙে যাওয়ায় সেতু পারাপারের সময় দু’টি গাড়ি এক সঙ্গে যেতে পারে না। একটি রিকশা আসলেও সেতুর অপর পাশে বসে সেতু পারাপারের জন্য সাইড দিতে হয়।
সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সেতু পার হওয়ার সময় আমরা আতঙ্কে থাকি।
দ্রুত বিকল্প সেতু নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অটোরিকশাচালক মুর্শিদ আলম।
কৃষ্ণপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা পলাশ মাহমুদ বলেন, কৃষ্ণপুর বাজারের মালবাহী গাড়ি, গরু ও মুরগির খামারের খাবার, ওষুধবাহী গাড়ি, ব্যক্তি ও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ইট, বালি, রড, সিমেন্ট ইত্যাদি এ সেতুর কারণে দীর্ঘ পথ ঘুরে আনা-নেওয়া করতে হয়।
বড়চাপা কলেজের অধ্যক্ষ হেরেম উল্লাহ আহসান এ প্রসঙ্গে বলেন, সেতুটি নির্মাণ জরুরি। ভাঙা সেতুটি দিয়ে সিএনজি, অটোরিকশা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল কোনোরকমে চলতে পারলেও প্রাইভেট কারের মতো সামান্য বড় কোনো যান চলতে পারে না।
বড়চাপা ইউপি চেয়ারম্যান এম সুলতান উদ্দীন বলেন, তাদের প্রচেষ্টায় সেতুটি পুনর্র্নিমাণের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানান, সেতুটি পুনর্র্নিমাণের উদ্দেশে মাটি পরীক্ষা করে ডিজাইনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























