নিজস্ব প্রতিবেদক :
সারা দেশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতায় থাকা ৯টি সেতু ও দুটি সড়কে আগামী নভেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের পর কোনো যানবাহন ই-টোল ছাড়া টোল প্লাজা অতিক্রম করতে পারবে না।
শনিবার (২৭ মে) সওজের এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সারা দেশে সওজ অধিদপ্তরের অধীনে ৯টি সেতু ও ২টি সড়কে ই-টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের পরে কোনো যানবাহন ই-টোল ছাড়া টোল প্লাজা অতিক্রম করতে পারবে না।
নভেম্বর থেকে যেসব সেতুতে বাধ্যতামূলক ই-টোল দিতে হবে, সেগুলো হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও মেঘনা সেতু। কুমিল্লার গোমতী সেতু, নরসিংদীর ভৈরব, চরসিন্দুর ও শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু, পটুয়াখালীর পায়রা সেতু, খুলনার খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু এবং পাবনার লালন শাহ সেতু।
দুই মহাসড়ক হলো নাটোরের আত্রাই টোল প্লাজা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এসব টোল প্লাজায় ইটিসি ব্যবহারকারীদের নির্ধারিত টোল থেকে ১০ শতাংশ টাকা ছাড় দেওয়া হবে।
যেভাবে দেবেন ই-টোল :
ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাপ নেক্সাস পে ব্যবহার করে টোল দেওয়া যাবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা বা ফার্স্ট ট্র্যাকে গেলেও গাড়ির নিবন্ধন করা যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংক এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও ই-টোল দেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সওজ।
এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ রকেট ও উপায় ব্যবহার করেও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল দেওয়ার জন্য গাড়ির নিবন্ধন করা যাবে। আবার (স্টার) *২৬৮# নাম্বারে কল করে গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক ব্যবহারকারীরা গাড়ির নিবন্ধন করতে পারবেন।
নেক্সাস পে, রকেট ও উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ই-টোল দেওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংক এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও ই-টোল দেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সওজ। এ জন্য, গুগলের প্লে স্টোর থেকে নেক্সাস পে বা উপায় অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
নেক্সাস পে-এর টোল কার্ডের ‘অ্যাড ভেইকেল’ অপশনে গাড়ির প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর কার্ডে টাকা যোগ করতে হবে। কার্ডের এই টাকা ব্যবহার করে ই-টোল প্রদান করতে হবে। সেতু বা মহাসড়কের ফাস্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করতে এটি ব্যবহার করতে হবে।
উপায় অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টোল পেমেন্ট অপশন বেছে নিয়ে গাড়ির সব তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই অ্যাপ দিয়ে ই-টোল দেওয়া যাবে। এ ছাড়া *২৬৮# ডায়াল করে (গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক থেকে) রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।