Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুর সিটির মতো সুষ্ঠু হবে জাতীয় নির্বাচন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে। এই নির্বাচনের মতো করে জাতীয় নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশনগুলোর নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাঁধা দেবে তাদের ভিসা বন্ধ করবে। এটাতে আমাদের কিছু নেই, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। সর্বশেষ গাজীপুরে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করব।

শনিবার (২৭ মে) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা বিএনপি নেতার হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত রাজধানীর মধ্য বাড্ডার লুৎফর টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব, তাতে বাইরের কে ভিসা নীতি দিল, নিষেধাজ্ঞা দিল- এ নিয়ে আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার কোনো মাথাব্যথা নেই। মানুষ আর ধানের শীষ চায় না। ওরা বলে ধানের শীষ, মানুষ বলে পেটে বিষ। কেউ কেউ বলে সাপের বিষ।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমেরিকা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের ভিসা বন্ধ করবে। এটাতে আমাদের কিছু নেই, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। আমরা অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করব। গাজীপুরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে দিয়েছি। সামনের দিনে বাংলাদেশে চারটি সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন অবাধ হবে। সবার অংশগ্রহণ আমরা চাই।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন ভিসা নীতিতে আমাদের লাভ হলো, এতোদিন তারা (বিএনপি) নালিশ করেছে নিষেধাজ্ঞা দেবে! সে নিষেধাজ্ঞা কই? নির্বাচনে বোমা মারলে, গাড়ি ভাঙচুর করলে তারাই ভিসা নীতির আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, কাজেই দেশি-বিদেশি কাউকে আমরা ভয় পাই না। আমরা আমাদের নীতিতে অটল হয়ে নির্বাচন চাইছি। খেলা হবে। আমরা প্রস্তুত, খেলা হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। আরও জোরে স্লোগান দিতে হবে। বাংলার মানুষ ধানের শিষ চায় না। কেরানীগঞ্জে ধরা খেয়েছে, নাটোরে ধরা খেয়েছে, এসব বিএনপির নাটক।’

নাটক নাটক খেলা শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে বিএনপির নাটক ধরা খেয়েছে। কেরানীগঞ্জে নাটক, খাগড়াছড়িতেও নাটক। নাটক বানাচ্ছে আওয়ামী লীগকে আক্রমণকারী হিসেবে সাজাতে এই নাটক। আমেরিকা যে ভিসানীতি প্রকাশ করেছে তাতে, নির্বাচনে বাধা দিলে খবর আছে। সেজন্য বিএনপি নতুন কৌশল নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমেরিকার নতুন ভিসানীতিতে বিএনপির গলা বসে গেছে, মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না, ভয় পায় এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কোনো শত্রু নাই, প্রধান শত্রু শেখ হাসিনা। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন দেশের কথা। চব্বিশ ঘণ্টায় মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমান আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্বাচনে কোনো বাধা দেয়া হলে প্রতিহত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে বাধা দেয়া হলে খবর আছে। আগামী নির্বাচনে নৌকা বনাম ধানের শীষে খেলা হবে। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দেবে তারা ধানের শীষ চায় না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভয় পাচ্ছেন কেন ফখরুল সাহেব। পায়ের তলায় যখন এত মাটি, তাহলে আসেন না লড়ি। নির্বাচনকে ভয় পান কেন। আসলে নির্বাচনকে না, তারা ভয় পায় শেখ হাসিনাকে। তাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আর বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম হচ্ছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত আটচল্লিশ বছরে সবচেয়ে সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী ও দক্ষ নেতার নাম শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নিজের, পরিবারের ও আওয়ামী লীগের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি রাজনীতি করেন দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। ১৫ দিনের বিদেশ সফর করে আসলেন মানুষের প্রয়োজনে। ওয়াশিংটন, জাপান, যুক্তরাজ্য হয়ে এসেই আবার কাতার গেলেন দেশের মানুষের জ্বালানি সংকটের সমাধানে। কাতারের আমিরের কাছে সাহায্য চাইলে তিনি চুক্তির বাইরেও জ্বালানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেন। দেশের মানুষের ভাগ্যের চাকা যাতে ঘুরে যায় সেই প্রচেষ্টায় শেখ হাসিনার কোনো কমতি নেই। তাকে ভুল বুঝবেন না। পঁচাত্তরের পর তার চেয়ে আপন বাংলাদেশের জন্য কোনো নেতার জন্ম হয়নি। মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষের জন্য কাজ করেন এমন নেতা একজনই আছেন, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাজীপুর সিটির মতো সুষ্ঠু হবে জাতীয় নির্বাচন : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে। এই নির্বাচনের মতো করে জাতীয় নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশনগুলোর নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাঁধা দেবে তাদের ভিসা বন্ধ করবে। এটাতে আমাদের কিছু নেই, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। সর্বশেষ গাজীপুরে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করব।

শনিবার (২৭ মে) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা বিএনপি নেতার হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত রাজধানীর মধ্য বাড্ডার লুৎফর টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব, তাতে বাইরের কে ভিসা নীতি দিল, নিষেধাজ্ঞা দিল- এ নিয়ে আওয়ামী লীগের, শেখ হাসিনার কোনো মাথাব্যথা নেই। মানুষ আর ধানের শীষ চায় না। ওরা বলে ধানের শীষ, মানুষ বলে পেটে বিষ। কেউ কেউ বলে সাপের বিষ।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমেরিকা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের ভিসা বন্ধ করবে। এটাতে আমাদের কিছু নেই, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। আমরা অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করব। গাজীপুরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে দিয়েছি। সামনের দিনে বাংলাদেশে চারটি সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন অবাধ হবে। সবার অংশগ্রহণ আমরা চাই।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন ভিসা নীতিতে আমাদের লাভ হলো, এতোদিন তারা (বিএনপি) নালিশ করেছে নিষেধাজ্ঞা দেবে! সে নিষেধাজ্ঞা কই? নির্বাচনে বোমা মারলে, গাড়ি ভাঙচুর করলে তারাই ভিসা নীতির আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, কাজেই দেশি-বিদেশি কাউকে আমরা ভয় পাই না। আমরা আমাদের নীতিতে অটল হয়ে নির্বাচন চাইছি। খেলা হবে। আমরা প্রস্তুত, খেলা হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। আরও জোরে স্লোগান দিতে হবে। বাংলার মানুষ ধানের শিষ চায় না। কেরানীগঞ্জে ধরা খেয়েছে, নাটোরে ধরা খেয়েছে, এসব বিএনপির নাটক।’

নাটক নাটক খেলা শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে বিএনপির নাটক ধরা খেয়েছে। কেরানীগঞ্জে নাটক, খাগড়াছড়িতেও নাটক। নাটক বানাচ্ছে আওয়ামী লীগকে আক্রমণকারী হিসেবে সাজাতে এই নাটক। আমেরিকা যে ভিসানীতি প্রকাশ করেছে তাতে, নির্বাচনে বাধা দিলে খবর আছে। সেজন্য বিএনপি নতুন কৌশল নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমেরিকার নতুন ভিসানীতিতে বিএনপির গলা বসে গেছে, মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না, ভয় পায় এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কোনো শত্রু নাই, প্রধান শত্রু শেখ হাসিনা। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন দেশের কথা। চব্বিশ ঘণ্টায় মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমান আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্বাচনে কোনো বাধা দেয়া হলে প্রতিহত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে বাধা দেয়া হলে খবর আছে। আগামী নির্বাচনে নৌকা বনাম ধানের শীষে খেলা হবে। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দেবে তারা ধানের শীষ চায় না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভয় পাচ্ছেন কেন ফখরুল সাহেব। পায়ের তলায় যখন এত মাটি, তাহলে আসেন না লড়ি। নির্বাচনকে ভয় পান কেন। আসলে নির্বাচনকে না, তারা ভয় পায় শেখ হাসিনাকে। তাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আর বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম হচ্ছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত আটচল্লিশ বছরে সবচেয়ে সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী ও দক্ষ নেতার নাম শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নিজের, পরিবারের ও আওয়ামী লীগের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি রাজনীতি করেন দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। ১৫ দিনের বিদেশ সফর করে আসলেন মানুষের প্রয়োজনে। ওয়াশিংটন, জাপান, যুক্তরাজ্য হয়ে এসেই আবার কাতার গেলেন দেশের মানুষের জ্বালানি সংকটের সমাধানে। কাতারের আমিরের কাছে সাহায্য চাইলে তিনি চুক্তির বাইরেও জ্বালানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেন। দেশের মানুষের ভাগ্যের চাকা যাতে ঘুরে যায় সেই প্রচেষ্টায় শেখ হাসিনার কোনো কমতি নেই। তাকে ভুল বুঝবেন না। পঁচাত্তরের পর তার চেয়ে আপন বাংলাদেশের জন্য কোনো নেতার জন্ম হয়নি। মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষের জন্য কাজ করেন এমন নেতা একজনই আছেন, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম।