স্পোর্টস ডেস্ক :
আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলেছিলো স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানকে ২-১ গোলে, দ্বিতীয় ম্যাচে গুয়েতেমালাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠে যায় মেসির উত্তরসূরীরা। শুক্রবার (২৬ মে) রাতে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিলো নিউজিল্যান্ডের।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির জালে রীতিমত গোল উৎসব করেছে স্বাগতিক দেশটি। নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্জেন্টিনা। টানা তিন ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে আর্জেন্টাইনরা।
১৪তম মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে প্রথমে এগিয়ে দেন ইগনাসিও মায়েস্ত্রো পাচ। এরপর লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করতেও সময় নেয়নি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মাত্র মিনিট তিনেক পরই লুকা রোমেরোর অসাধারণ পাস ধরে দলের দ্বিতীয় গোল করেন জিনো ইনফান্তিনো।
প্রথমার্ধে শেষ গোলটি করেন রোমেরো। ২৫ গজ দূর থেকে তার বুলটগতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তারকা এই ফরোয়ার্ডের সম্পর্কে তুমুল আলোচনার যে তিনি যোগ্য, যেন সেই প্রমাণই দিলেন এই গোলে। ফলে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরও দুর্বার আর্জেন্টিনা। ৫০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে চতুর্থ গোল করেন ব্রায়ান আগুয়েরে। ৮৬তম মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন অ্যালোজো ভেলিজ।
পুর খেলায় ৭৬ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রন রাখা আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে মোট ৩০ টি যার ৯ তিই ছিল লক্ষে। অপরদিকে নিউজিল্যান্ড কোনো শতই নিতে পারেনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচও জিতে যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করলো মেসি-ডি মারিয়াদের উত্তরসূরিরা।
দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ এখনও নির্ধারণ হয়নি। হয়তো আজ রাতেই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। সি, ডি, ই- গ্রুপের মধ্যে তৃতীয় হওয়া সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে হবে আর্জেন্টাইনদের। এমনকি এই পর্বে ব্রাজিলকেও পেয়ে যেতে পারে স্বাগতিকরা। ৩১ মে নকআউট পর্বে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ইন্দোনেশিয়া থেকে ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে আর্জেন্টিনায় আসায় আয়োজক হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় দলটি। যদিও টুর্নামেন্টটির সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড (৬ বার) আর্জেন্টিনার দখলে।