Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে : ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব যখন কিছুটা স্থিতিশীলতায় ফিরেছে ঠিক তখনই পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মঙ্গলবার (২৩ মে) ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে প্রতিবেদন পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস এ সতর্কবার্তা দেন।

বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সতর্কতা জারি করে তিনি বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির চেয়েও সেটি ‘মারাত্মক ও প্রাণঘাতী’ হতে পারে।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস অবশ্য বলছেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে এবং নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে। যখন পরবর্তী কোনও মহামারি আঘাত হানবে তখন আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।

গেব্রিয়াসুস বলেন, করোনার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। গোটা বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট। তাই, পরবর্তী মহামারি মোকাবিলায় সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলোর জন্য কোভিড-১৯-এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।

এই মহামারি ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষণা হওয়া ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও প্রভাবিত করেছে। ইতোমধ্যেই একশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত রয়েছেন। পাঁচ বছরের উদ্যোগে আরও একশ কোটি মানুষের সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারি আমাদের পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এটা আমাদের দেখিয়েছে যে, কেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই থাকবে এবং কেন আমরা মহামারি মোকাবেলা করার জন্য একই তাড়না ও সংকল্প অনুসরণ করবো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহুান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রথম উৎপত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এর কিছুদিনের মধ্যেই পুরো দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ওয়ার্ল্ডো মিটারের সাইটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৮১ হাজার। শনাক্ত ও মৃত্যুর হার অনেকটা কমে এলেও এখনও রয়ে গেছে ঝুঁকি। সূত্র : এনডিটিভি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে : ডব্লিউএইচও

প্রকাশের সময় : ০১:১৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব যখন কিছুটা স্থিতিশীলতায় ফিরেছে ঠিক তখনই পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মঙ্গলবার (২৩ মে) ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে প্রতিবেদন পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস এ সতর্কবার্তা দেন।

বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সতর্কতা জারি করে তিনি বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির চেয়েও সেটি ‘মারাত্মক ও প্রাণঘাতী’ হতে পারে।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস অবশ্য বলছেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে এবং নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে। যখন পরবর্তী কোনও মহামারি আঘাত হানবে তখন আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।

গেব্রিয়াসুস বলেন, করোনার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। গোটা বিশ্ব চমকে গিয়েছিল। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট। তাই, পরবর্তী মহামারি মোকাবিলায় সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলোর জন্য কোভিড-১৯-এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।

এই মহামারি ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষণা হওয়া ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও প্রভাবিত করেছে। ইতোমধ্যেই একশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত রয়েছেন। পাঁচ বছরের উদ্যোগে আরও একশ কোটি মানুষের সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারি আমাদের পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এটা আমাদের দেখিয়েছে যে, কেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই থাকবে এবং কেন আমরা মহামারি মোকাবেলা করার জন্য একই তাড়না ও সংকল্প অনুসরণ করবো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহুান শহরে করোনা ভাইরাসের প্রথম উৎপত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। এর কিছুদিনের মধ্যেই পুরো দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ওয়ার্ল্ডো মিটারের সাইটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৮১ হাজার। শনাক্ত ও মৃত্যুর হার অনেকটা কমে এলেও এখনও রয়ে গেছে ঝুঁকি। সূত্র : এনডিটিভি।