Dhaka রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এরদোয়ানকেই সমর্থন দিলেন সিনান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গেল সপ্তাহে শেষ হয় তুরস্কের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম দফায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ডানপন্থি নেতা সিনান ওগান। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছেন।

সোমবার (২২ মে) এরদোয়ানকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন ওগান। আগামী ২৮ মে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং কেমাল কিলিচদারোগলোর ম্যেধ রান-অফ নির্বাচন হবে। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই আগামী পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

এরদোয়ানকে সমর্থন জানিয়ে সিনান ওগান বলেন, আমি ঘোষণা করছি আমরা একে পার্টির রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সমর্থন করব এবং যেসব ভোটার নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে আমাদের ভোট দিয়েছিলেন তারা এরদোয়ানকে ভোট দেবেন।

তুরস্কের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠা ওগান জানিয়েছেন, দেশের ভালোর কথা চিন্তা করেই তারা এরদোয়ানকে সমর্থন জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এরদোয়ানের বিরোধী নেতা কেমাল কিলিচদারোগুলোর জাতীয় জোটকে সমর্থন না জানানোর ব্যাপারে সিনান ওগান বলেছেন, তাদের কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি।

আগামী ২৮ মে তুরস্কে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে শাসন ক্ষমতা যাবে কার হাতে। এ দফার ভোটযুদ্ধে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ হলেন এরদোয়ান এবং কেমাল কিলিচদারওগলু।

১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ান ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পান। ছয়-দলীয় বিরোধী জোটের নেতা কেমাল কিলিচদারওগলু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট।

অন্যদিকে, এটিএ জোট সমর্থিত নেতা সিনান ওগান ৫.১৭ শতাংশ ভোট পান। ৫ শতাংশের বেশি ভোট ঝুলিতে নিয়ে সিনান এখন ‘কিংমেকার’ হয়ে উঠেছেন।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আগামী ২৮শে মে রানঅফ ভোটে এ দেশের মানুষ পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিআর হাবেরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এসময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে পশ্চিমা মিডিয়া। তারা নির্লজ্জভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করেছে। কিন্তু তুরস্কের মানুষ গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাকেই জয়ী করেছে। আশাকরি ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ রানঅফ ভোটেও পশ্চিমাদের গালে চপেটাঘাত করে আমাকেই জয়ী করবে।

এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের গণতান্ত্রীক মূল্যবোধ অর্জন করেছি। তুরস্কের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও সামরিক শক্তির উত্থানে ভীত হয়ে পশ্চিমারা আমাদের পিছনে লেগেছে। তাছাড়া, তুরস্কের কারণেই কাতার, আজাবাইজান ও লিবিয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা এখন শত্রু আর মিত্র খুব পরিষ্কারভাবে চিনতে পারছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এরদোয়ানকেই সমর্থন দিলেন সিনান

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গেল সপ্তাহে শেষ হয় তুরস্কের প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম দফায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ডানপন্থি নেতা সিনান ওগান। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছেন।

সোমবার (২২ মে) এরদোয়ানকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন ওগান। আগামী ২৮ মে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং কেমাল কিলিচদারোগলোর ম্যেধ রান-অফ নির্বাচন হবে। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই আগামী পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

এরদোয়ানকে সমর্থন জানিয়ে সিনান ওগান বলেন, আমি ঘোষণা করছি আমরা একে পার্টির রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে সমর্থন করব এবং যেসব ভোটার নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে আমাদের ভোট দিয়েছিলেন তারা এরদোয়ানকে ভোট দেবেন।

তুরস্কের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠা ওগান জানিয়েছেন, দেশের ভালোর কথা চিন্তা করেই তারা এরদোয়ানকে সমর্থন জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এরদোয়ানের বিরোধী নেতা কেমাল কিলিচদারোগুলোর জাতীয় জোটকে সমর্থন না জানানোর ব্যাপারে সিনান ওগান বলেছেন, তাদের কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি।

আগামী ২৮ মে তুরস্কে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে শাসন ক্ষমতা যাবে কার হাতে। এ দফার ভোটযুদ্ধে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ হলেন এরদোয়ান এবং কেমাল কিলিচদারওগলু।

১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ান ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পান। ছয়-দলীয় বিরোধী জোটের নেতা কেমাল কিলিচদারওগলু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট।

অন্যদিকে, এটিএ জোট সমর্থিত নেতা সিনান ওগান ৫.১৭ শতাংশ ভোট পান। ৫ শতাংশের বেশি ভোট ঝুলিতে নিয়ে সিনান এখন ‘কিংমেকার’ হয়ে উঠেছেন।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আগামী ২৮শে মে রানঅফ ভোটে এ দেশের মানুষ পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে। সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরটিআর হাবেরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এসময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্বাচনে আমাকে পরাজিত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে পশ্চিমা মিডিয়া। তারা নির্লজ্জভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করেছে। কিন্তু তুরস্কের মানুষ গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমাকেই জয়ী করেছে। আশাকরি ২৮ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ রানঅফ ভোটেও পশ্চিমাদের গালে চপেটাঘাত করে আমাকেই জয়ী করবে।

এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের গণতান্ত্রীক মূল্যবোধ অর্জন করেছি। তুরস্কের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও সামরিক শক্তির উত্থানে ভীত হয়ে পশ্চিমারা আমাদের পিছনে লেগেছে। তাছাড়া, তুরস্কের কারণেই কাতার, আজাবাইজান ও লিবিয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি। আমরা এখন শত্রু আর মিত্র খুব পরিষ্কারভাবে চিনতে পারছি।