আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কানসাস সিটির একটি নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর অজ্ঞাত হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর মার্সেইতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, মার্সেই হচ্ছে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং সর্বশেষ এই গুলির ঘটনা শহরের একটি আবাসিক এলাকায় ঘটল। গাড়িটিতে পাঁচজন লোক ছিল এবং তাদের সবার বয়সই ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে নাইটক্লাব থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ ওই পাঁচজনের বহনকারী গাড়িতে গুলি চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নাইট ক্লাবের বাইরে এবং একজন নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন।
তদন্তকারীরা ফরাসি মিডিয়াকে বলেছেন, ওই পাঁচজনই পুলিশের কাছে পরিচিত ছিল এবং তারা যে হাউজিং এস্টেটে বাস করত সেখানে মাদক অপরাধ ব্যাপকভাবে বিদ্যমান।
তারা বলেছেন, ঘটনাস্থলের কাছে একটি গাড়িতে আগুন লাগে এবং এটিও মাদকের সহিংসতার দিকেই ইঙ্গিত করছে। কারণ অপরাধীরা প্রায়ই প্রমাণ নষ্ট করার জন্য তাদের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলে।
আঞ্চলিক প্রিফেক্ট ফ্রেডেরিক ক্যামিলেরি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, এই ঘৃণ্য অপরাধের অপরাধীদের খুঁজে বের করতে এবং এই সহিংসতার পেছনে জড়িতদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে পুরো পুলিশ বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, গত সপ্তাহান্তে অফিসাররা তিনটি কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেলসহ অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (২১ মে) মধ্যরাতে নাইটক্লাবে গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেড়টার ঠিক আগে পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছানোর পর বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় খুঁজে বের করেন এবং চিকিৎসা হাসপাতালে নেন।
বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির এই ঘটনার সঙ্গে মাদক ব্যবসার যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এএফপি নিউজ এজেন্সি বলছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত মার্সেইতে মাদক সংক্রান্ত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ২১ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে, কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা জানাতে ২৫ হাজার ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র : বিবিসি।