Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিএনপির ১৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেফতার ১৩

খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মে) রাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

শনিবার (২০ মে) খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনা মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- খালিশপুর থানার আলমনগর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে সোহেল রানা (২০), ২৬ নং ওয়ার্ড ওয়ার্লেস ক্রস রোড এলাকার আহমেদ হোসেন গাজীর ছেলে গাজী সালাউদ্দীন (৪২), রুপসা থানার দেয়াড়া এলাকার মো. আজিজুর রহমানের ছেলে মো. আতাউর রহমান (৪৮), আইচগাতী এলাকার মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে মো. সেকেন্দার শেখ (৬০), বটিয়াঘাটা থানার বাড়োয়াড়িয়া এলাকার মৃত আলতাফ মোল্যার ছেলে মো. শাইখুল মোল্যা (৩৪), লবনচরা থানার হরিনটানা এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. ওয়াহিদ শেখ (৩২), দাকোপ থানার খেজুরিয়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. রাসেল (২৪), সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতী ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকার আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে রাব্বি চৌধুরী (২৯), দাকোপ থানার গুনারী এলাকার আ. সালাম গাজীর ছেলে মাহবুব গাজী (২৬), রুপসা থানার আইচগাতী এলাকার আব্দুল আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), সোনাডাঙ্গা থানার ট্রাক স্ট্যান্ড, আব্দুল গনি সড়ক এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে মো. রাজু শেখ (৪১), নগরীর নতুন বাজার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ রোড এলাকার মৃত মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. আলিফ মিলন (৩১) এবং নতুন বাজার খ্রিষ্টানগলি এলাকার মো. আউয়ালের ছেলে মো. রাসেল (২৭)।

জানা যায়, শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল

খুলনায় বিএনপির ১৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা, গ্রেফতার ১৩

প্রকাশের সময় : ০৪:০১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মে) রাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

শনিবার (২০ মে) খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনা মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- খালিশপুর থানার আলমনগর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে সোহেল রানা (২০), ২৬ নং ওয়ার্ড ওয়ার্লেস ক্রস রোড এলাকার আহমেদ হোসেন গাজীর ছেলে গাজী সালাউদ্দীন (৪২), রুপসা থানার দেয়াড়া এলাকার মো. আজিজুর রহমানের ছেলে মো. আতাউর রহমান (৪৮), আইচগাতী এলাকার মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে মো. সেকেন্দার শেখ (৬০), বটিয়াঘাটা থানার বাড়োয়াড়িয়া এলাকার মৃত আলতাফ মোল্যার ছেলে মো. শাইখুল মোল্যা (৩৪), লবনচরা থানার হরিনটানা এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. ওয়াহিদ শেখ (৩২), দাকোপ থানার খেজুরিয়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. রাসেল (২৪), সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতী ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকার আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে রাব্বি চৌধুরী (২৯), দাকোপ থানার গুনারী এলাকার আ. সালাম গাজীর ছেলে মাহবুব গাজী (২৬), রুপসা থানার আইচগাতী এলাকার আব্দুল আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), সোনাডাঙ্গা থানার ট্রাক স্ট্যান্ড, আব্দুল গনি সড়ক এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে মো. রাজু শেখ (৪১), নগরীর নতুন বাজার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ রোড এলাকার মৃত মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. আলিফ মিলন (৩১) এবং নতুন বাজার খ্রিষ্টানগলি এলাকার মো. আউয়ালের ছেলে মো. রাসেল (২৭)।

জানা যায়, শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।