আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লাহোরের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতে তিন মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন। গত ৯ মে ইমরান খান গ্রেফতারের পর বেশ কয়েকটি সেনানিবাসসহ পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের ঘটনার তিন মামলায় শুক্রবার (১৯ মে) আগাম জামিন পেলেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান।
আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে ইমরান খান বলেন, গত ৩৫ বছরে এমন ‘দমনপীড়ন’ দেখিনি। মনে হচ্ছে, সব নাগরিক স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে শুধু আদালত এখনও মানবাধিকারের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। শেষ বল পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাবেন।
আগামী ২ জুন পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়ে ইমরান খানকে তদন্তে সহযোগিতার আদেশ দেন লাহোরের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত। এর একটি মামলায় লাহোরের কর্পস কমান্ডার হাউসে হামলার অভিযোগের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ইমরান খান সেনানিবাসে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কে নিন্দা করছে না? আমাকে একজনের নাম বলেন যে এটা করছে না।
ইমরান খান বলেন, পুরনো ভবনটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, ২৭ বছরে আমি কি কোনোদিন অগ্নিসংযোগ ও দাঙ্গা-সংঘাত করতে বলেছি? আমি বরং সব সময় আইন ও সংবিধান মোতাবেক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথা বলে এসেছি।
এর আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ৯ মে সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় প্রকাশ্যে নিন্দা জানানো উচিত ইমরান খানের।
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ১২ মে ইসলামাদ হাইকোর্ট ইমরান খানকে জামিন দেন। এর আগে ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেয়া পৃথক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই তার বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা দেয়া হয়েছে।
ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, আমার দলের সাড়ে ৭ হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দলের সব জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তো, আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে? আমি জানি না। তবে আমি আশঙ্কা করছি, আমাকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। সূত্র : ডন, আল জাজিরা, ডয়েচে ভেলে।