আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সৌদি আরব সফরে গেলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) তিনি সৌদির বন্দরনগরী জেদ্দা পৌঁছেছেন। ১১ বছর পর সিরিয়ার সদস্যপদ পুনর্বহালের পর আরব লিগের সম্মেলনে প্রথমবার যোগ দিচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ মে) শহরটিতে আরব লিগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে যোগদানের জন্য জেদ্দা পৌঁছেছেন আসাদ।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ বছরেরও বেশি সময় পর চলতি মাসে আরব বিশ্বের আঞ্চলিক সংস্থা আরব লীগে সিরিয়ার সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হয়। শুক্রবার আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন আল-আসাদ।
২০১১ সালে আল-আসাদ ও তার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়ন চালায়। পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় বিধ্বংসী যুদ্ধের কারণে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করে আরব লীগ।
তবে বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের ‘হেভিওয়েট’ সৌদি আরবে আসাদের আগমনকে আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশগুলোর প্রচেষ্টার সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক সৌদি আরব আগে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় আল-আসাদ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে লড়াই চালানো সশস্ত্র বিরোধীগোষ্ঠীগুলোর প্রধান সমর্থক ছিল।
গত কয়েক মাসে সিরিয়ায় চলমান সংঘাতের অবসানে দেশটির সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে রিয়াদ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে দেশটিতে ৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ঘরছাড়া হয়েছেন।
আল-আসাদের সৈন্যরা তার প্রধান মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ দুই মিত্রের কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম আল-আসাদ।
২০০০ সালে আসাদের বাবা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদ মারা যান। তার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে দুই দেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। গত সপ্তাহে তারা তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই অঞ্চলে শান্তির প্রতি জোর দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের মধ্যস্ততায় ইরানের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে সৌদি আরব। তাছাড়া ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ অবসানেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সূত্র : আল জাজিরা।