Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সহজ জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখল লিভারপুল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ মুহূর্তের অঙ্কগুলো বেশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রতি ম্যাচেই চিত্র বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। শেষ চারে থাকার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং নিউক্যাসলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে লিভারপুল। সোমবার (১৫ মে) রাতে লেস্টার সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থস্থানে থাকা ম্যানইউকে প্রায় ছুঁয়ে ফেললো লিভারপুল।

প্রথমার্ধে লেস্টার সিটির বিপক্ষে লিভারপুলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন কার্টিস জোন্স। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। তিনটি গোলেই পরোক্ষ অবদান রেখেছেন মোহামেদ সালাহ।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বেশ গোছানো ফুটবল খেলেছে লেস্টার। নিজেদের রক্ষণ দারুণভাবে সামলেত মাঝে মাঝে আক্রমণেও যাচ্ছিল তারা। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে শুরু করে সফরকারীরা। ৩৩তম মিনিটে লেস্টারের রক্ষণ বড় ধাক্কা খায় জোনসের গোলে। তিন মিনিট পর ফের জোনসের গোল লেস্টারকে ম্যাচ থেকেই প্রায় ছিটকে দেয়।

লেস্টারের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো দ্বিতীয় গোল হজমের পরেই। কিক-অফের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গোলমুখে বল পেয়ে যান লিভারপুলের কোডি গাকপো। কিন্তু তার নিচু শটে বল সরাসরি জমা হয় লেস্টার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল ইভেরসেনের গ্লাভসে। ডিন স্মিথের শিষ্যরা ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে যখন মাঠ ছাড়ে, তাদের ঘরের মাঠের দর্শকরাই তখন দুয়ো দিতে থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। জোড়া গোলে এগিয়ে থাকায় লিভারপুল কোনো ঝুঁকি নিচ্ছিল না। অন্যদিকে লেস্টারের খেলায় দেখা দেয় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি। উল্টো শেষ বাঁশি বাজার মিনিট বিশেক আগে ফ্রি-কিক থেকে টপ কর্নার দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে ফক্সদের সব আশা শেষ করে দেন অ্যালেকজান্ডার আর্নল্ড।

এ নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে জয় পেলো লিভারপুল। কিন্তু তবুও দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ কোনোভাবেই সন্তুষ্ট নন এই ফল দিয়ে। তার বিশ্বাস, লিভারপুল যেভাবে খেলে এসেছে, তাতে তাদেরকে ম্যানইউ কিংবা নিউক্যাসলের ওপর থাকার কথাা ছিল।

তিনি বলেন, আমি মনে করি না যে, এটা (সেরা চারে যাওযা) ঘটতে পারে। বিশেষ করে যখন আপনি দেখবেন, তারা (ম্যানইউ এবং নিউক্যাসল) যেভাবে খেলছে। তাদেরও অনেক বেশি কোয়ালিটি রয়েছে। এটা অবশ্যই লজ্জার হবে, যদি তারা নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে পড়ে। আমরা যেহেতু ওই জায়গায় নেই, তাহলে নিজেদের কাজই করে যাই।

নিজেদের মাঠে ডিফেন্ডার জনি ইভান্সকে দলে ফেরাতে পেরেছিলো লেস্টার সিটি। গত অক্টোবরের পর তিনি আর খেলতে পারেননি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি তিনি।

৩৬ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৩৬ ম্যাচে ৬৫। তারা রয়েছে এখন পঞ্চম স্থানে। ৩৫ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ম্যানইউ। সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। লিভারপুলের বাকি আছে আর ২ ম্যাচ। তারা যদি এই দুই ম্যাচ জিতে যায়, ম্যানইউ কিংবা নিউ ক্যাসল যদি কোনো ম্যাচে হোঁচট খায়, তাহলে লিভারপুলই চলে যাবে চতুর্থ স্থানে। ৩৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৯তম স্থানে রয়েছে লেস্টার সিটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সহজ জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখল লিভারপুল

প্রকাশের সময় : ০২:৪২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ মুহূর্তের অঙ্কগুলো বেশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রতি ম্যাচেই চিত্র বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। শেষ চারে থাকার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং নিউক্যাসলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে লিভারপুল। সোমবার (১৫ মে) রাতে লেস্টার সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থস্থানে থাকা ম্যানইউকে প্রায় ছুঁয়ে ফেললো লিভারপুল।

প্রথমার্ধে লেস্টার সিটির বিপক্ষে লিভারপুলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন কার্টিস জোন্স। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। তিনটি গোলেই পরোক্ষ অবদান রেখেছেন মোহামেদ সালাহ।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বেশ গোছানো ফুটবল খেলেছে লেস্টার। নিজেদের রক্ষণ দারুণভাবে সামলেত মাঝে মাঝে আক্রমণেও যাচ্ছিল তারা। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিতে শুরু করে সফরকারীরা। ৩৩তম মিনিটে লেস্টারের রক্ষণ বড় ধাক্কা খায় জোনসের গোলে। তিন মিনিট পর ফের জোনসের গোল লেস্টারকে ম্যাচ থেকেই প্রায় ছিটকে দেয়।

লেস্টারের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো দ্বিতীয় গোল হজমের পরেই। কিক-অফের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গোলমুখে বল পেয়ে যান লিভারপুলের কোডি গাকপো। কিন্তু তার নিচু শটে বল সরাসরি জমা হয় লেস্টার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল ইভেরসেনের গ্লাভসে। ডিন স্মিথের শিষ্যরা ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে যখন মাঠ ছাড়ে, তাদের ঘরের মাঠের দর্শকরাই তখন দুয়ো দিতে থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। জোড়া গোলে এগিয়ে থাকায় লিভারপুল কোনো ঝুঁকি নিচ্ছিল না। অন্যদিকে লেস্টারের খেলায় দেখা দেয় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি। উল্টো শেষ বাঁশি বাজার মিনিট বিশেক আগে ফ্রি-কিক থেকে টপ কর্নার দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে ফক্সদের সব আশা শেষ করে দেন অ্যালেকজান্ডার আর্নল্ড।

এ নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে জয় পেলো লিভারপুল। কিন্তু তবুও দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ কোনোভাবেই সন্তুষ্ট নন এই ফল দিয়ে। তার বিশ্বাস, লিভারপুল যেভাবে খেলে এসেছে, তাতে তাদেরকে ম্যানইউ কিংবা নিউক্যাসলের ওপর থাকার কথাা ছিল।

তিনি বলেন, আমি মনে করি না যে, এটা (সেরা চারে যাওযা) ঘটতে পারে। বিশেষ করে যখন আপনি দেখবেন, তারা (ম্যানইউ এবং নিউক্যাসল) যেভাবে খেলছে। তাদেরও অনেক বেশি কোয়ালিটি রয়েছে। এটা অবশ্যই লজ্জার হবে, যদি তারা নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে পড়ে। আমরা যেহেতু ওই জায়গায় নেই, তাহলে নিজেদের কাজই করে যাই।

নিজেদের মাঠে ডিফেন্ডার জনি ইভান্সকে দলে ফেরাতে পেরেছিলো লেস্টার সিটি। গত অক্টোবরের পর তিনি আর খেলতে পারেননি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি তিনি।

৩৬ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৩৬ ম্যাচে ৬৫। তারা রয়েছে এখন পঞ্চম স্থানে। ৩৫ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ম্যানইউ। সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। লিভারপুলের বাকি আছে আর ২ ম্যাচ। তারা যদি এই দুই ম্যাচ জিতে যায়, ম্যানইউ কিংবা নিউ ক্যাসল যদি কোনো ম্যাচে হোঁচট খায়, তাহলে লিভারপুলই চলে যাবে চতুর্থ স্থানে। ৩৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৯তম স্থানে রয়েছে লেস্টার সিটি।