নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের পুরনো ইটের খোয়া আনা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, অন্য প্রকল্পের কাজের খোয়া বেঁচে যাওয়ায় এ সড়কে এনে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, নিম্নমানের খোয়া দ্রুত অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির নির্মাণকাজ চলমান। ইট ভেঙ্গে খোয়া বানাচ্ছেন শ্রমিকরা; কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কটি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন ধরে ইট ভাঙ্গা হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গা খোয়ার সঙ্গে নিম্নমানের পুরনো খোয়া এনে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পুরনো সেই খোয়াগুলো সম্পূর্ণ মাটির দলা। হাত দিয়ে ডলা দিলেই গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে।

নিম্নমানের পুরনো এ খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হলে অল্পদিনের মধ্যে সড়কটি ভেঙ্গে যাবে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। একই সঙ্গে কাজের জন্য নিম্নমানের খোয়া আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। দ্রুত এ খোয়া সরিয়ে নেয়ার দাবি তাদের।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে নতুন খোয়ার পাশাপাশি কিছু পুরনো বালুমিশ্রিত খোয়া তিনি দেখেছেন। খোয়াগুলো নিম্নমানের। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে খোয়াগুলো দ্রুত অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

সড়ক নির্মাণকাজটি করছেন পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওদুদ মণ্ডলের ভাই ইদ্রিস মণ্ডল। নিম্নমানের পুরনো খোয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মৃগী সড়কে এলজিইডির অন্য একটি প্রকল্পের কাজ করেছি। সেখানকার কিছু বেঁচে যাওয়া খোয়া এ সড়কে এনে রেখেছি। তবে খোয়াগুলো নিম্নমানের নয়। এখান থেকে খোয়াগুলো সরিয়ে নেয়া হবে।

পাংশা উপজেলা প্রকৌশলীর দফতর সূত্রে জানা গেছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প-৩-এর আওতায় উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের দুরশুনদিয়া গ্রামের বিনোদপুর-ধানুরিয়া থেকে এতিম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ১ হাজার ১১০ মিটার সড়ক নির্মাণকাজের দরপত্র হয়। রাজবাড়ীর রাজা অ্যান্ড কোং নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ লাখ ৬৮৮ টাকা। এ বছরের ১৫ মার্চ কাজ শুরু হয়, ২০২৪ সালের ১৪ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়া কথা।