Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করেছি : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশ অতিক্রম করে সেই সময় সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার, কক্সবাজার ও টেকনাফে ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছিলাম। যার জন্য হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (১৫ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ক্ষতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পদের ক্ষতির মধ্যে অনেক গাছপালা পড়ে গেছে। টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ২ হাজারের মতো ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ১০ হাজারের ওপর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছচাপা পড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে; তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাড়িঘরের সংখ্যা ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির আর কোনো তথ্য আমরা পাইনি। এই প্রথম বাংলাদেশ কোনো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করল যেখানে কোনো মৃত্যু সংবাদ নেই। এজন্য আমরা এটাকে বিশাল সফলতা বলছি। কারণ প্রাণহানিটাই সবচেয়ে বড় লস।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মহাবিপদ সংকেত ১০ থেকে ৩-এ দেয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। জেলা প্রশাসন তাদের দেখভাল করছে।

তিনি বলেন, সবকিছুই রিকভার করা যায়, কিন্তু মানুষের জীবনটা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সবসময় নির্দেশ দিয়েছেন একটি লোকও যেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে, একটি লোকও যেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে না থাকে।

তিনি বলেন, সংকেত যতক্ষণ ১০ ছিল ততোক্ষণ আমরা কাউকে যেতে দেইনি। যেতে চেয়েছে কিন্তু প্রশাসন যেতে দেয়নি। সিগন্যাল কমানোয় তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে।

এনামুর রহমান আরও বলেন, যাদের খাবার নেই তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে। যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য টিন ও নগদ টাকা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছি। সচিবকে বলেছি, তিনি মাঠপর্যায় থেকে তালিকা চেয়েছেন। তালিকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সেই সহায়তা দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া জেলাগুলোতেও মানবিক সহযোগিতা মজুত থাকে। একান্ত জরুরি যেগুলো, সেগুলো তারা সরবরাহ করে। তাদের কাছে ২০০ বান্ডিল টিন থাকে, ১০ লাখ টাকা থাকে, ২০০ টন চাল থাকে, ২ হাজার প্যাকেট খাবার থাকে। এখান থেকে তারা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করেছি : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশ অতিক্রম করে সেই সময় সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার, কক্সবাজার ও টেকনাফে ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছিলাম। যার জন্য হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (১৫ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ক্ষতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পদের ক্ষতির মধ্যে অনেক গাছপালা পড়ে গেছে। টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ২ হাজারের মতো ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ১০ হাজারের ওপর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছচাপা পড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে; তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাড়িঘরের সংখ্যা ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির আর কোনো তথ্য আমরা পাইনি। এই প্রথম বাংলাদেশ কোনো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করল যেখানে কোনো মৃত্যু সংবাদ নেই। এজন্য আমরা এটাকে বিশাল সফলতা বলছি। কারণ প্রাণহানিটাই সবচেয়ে বড় লস।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মহাবিপদ সংকেত ১০ থেকে ৩-এ দেয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। জেলা প্রশাসন তাদের দেখভাল করছে।

তিনি বলেন, সবকিছুই রিকভার করা যায়, কিন্তু মানুষের জীবনটা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সবসময় নির্দেশ দিয়েছেন একটি লোকও যেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে, একটি লোকও যেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে না থাকে।

তিনি বলেন, সংকেত যতক্ষণ ১০ ছিল ততোক্ষণ আমরা কাউকে যেতে দেইনি। যেতে চেয়েছে কিন্তু প্রশাসন যেতে দেয়নি। সিগন্যাল কমানোয় তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছে।

এনামুর রহমান আরও বলেন, যাদের খাবার নেই তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে। যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের জন্য টিন ও নগদ টাকা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছি। সচিবকে বলেছি, তিনি মাঠপর্যায় থেকে তালিকা চেয়েছেন। তালিকা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সেই সহায়তা দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া জেলাগুলোতেও মানবিক সহযোগিতা মজুত থাকে। একান্ত জরুরি যেগুলো, সেগুলো তারা সরবরাহ করে। তাদের কাছে ২০০ বান্ডিল টিন থাকে, ১০ লাখ টাকা থাকে, ২০০ টন চাল থাকে, ২ হাজার প্যাকেট খাবার থাকে। এখান থেকে তারা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারবে।