Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে দায়ী করলেন ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান তার নিজের গ্রেফতার ও তার জেরে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্য সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি, সেনাপ্রধান তাকে ‘ভুল বুঝছেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন ইমরান।

মঙ্গলবার (৯ মে) ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর নানা নাটকীয়তা শেষে শুক্রবার (১২ মে) তাকে জামিন দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এরপর তিনি তার লাহোরের বাসভবনে ফিরেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন ইমরান খান। আদালতে শুনানির বিরতিতে বিবিসির সাংবাদিক ক্যারোলিন ডেভিসকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে ক্যারোলিন প্রশ্ন করেন মঙ্গলবারের গ্রেফতার ও তার জেরে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতার জন্য সামরিক বাহিনীর কতখানি দায় আছে বলে মরেন করেন পিটিআই চেয়ারম্যান।

উত্তরে ইমরান খান বলেন, যা কিছু ঘটছে, তার জন্য একজনই দায়ী, তিনি হচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। গত কয়েকদিন ধরে যা যা হচ্ছে তাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সেনাসদ্যদের আমি দোষ দেব না তবে একজনকে অবশ্যই দায়ী করব— আর তিনি হলেন সেনাপ্রধান। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে এখন গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সম্প্রতি সামরিক বাহিনী যে অপমানের শিকার হলো— তার দায়ও সেনাপ্রধানকে নিতে হবে।

বিবিসিকে ইমরান খান বলেন, তিনি (সেনাপ্রধান আসিম মুনির) সবসময়ই এই ভয়ে থাকেন যে যদি আমি ক্ষমতায় আসি, সেক্ষেত্রে তাকে আমি পদচ্যুত করব। অথচ আমি তাকে বোঝাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিৃ এমনকি লিখিত বার্তা দিয়েও জানিয়েছি— এমনটা আমি করব নাৃ কিন্তু সে আমার ওপর বিশ্বার রাখতে পারছে না। তার মনে এই ধারণা গেড়ে বসেছে (ক্ষমতায় গেলে) আমি তাকে পদচ্যুত করবই। বর্তমানে দেশে যা যা হচ্ছে— সবকিছু তার সরাসরি নির্দেশে হচ্ছে।

এর আগে ইমরান খানকে তার জামিনের শুনানির জন্য শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদের হাইকোর্টে হাজির করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার (১১ মে) তার গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল এক রায়ে ইমরান খানের গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ইমরান খানের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত দশজন নিহত হয়েছে।

তবে ইমরান খানকে তার নিজের নিরাপত্তার জন্য শুক্রবার (১২ মে) জামিনের শুনানির জন্য আদালতে হাজির করার আগে পর্যন্ত পুলিশের পাহারায় রাখতে বলা হয়েছিল। ইমরান খানকে আদালতে হাজির করা হয় কড়া নিরাপত্তায় এক বিরাট গাড়ি বহরের সঙ্গে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে মোতায়েন রাখা হয়েছিল অনেক পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য।

কালো চশমা এবং আকাশ-নীল রঙের সালওয়ার-কামিজ পরা ইমরান খান যখন হেঁটে আদালত ভবনে ঢোকেন তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা। তাদের ঘিরে রেখেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সদস্যরা আদালত ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে শ্লোগান দেয়। ইমরান খানকে তখন তার সমর্থকদের দিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলতে দেখা যায়।

জামিনের পর ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তার নিজ শহর লাহোরের দিকে রওনা হন। জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর তিনি কয়েক ঘন্টা ভেতরে ছিলেন, এই বলে যে তাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বের হতে দিচ্ছেন না।

আদালতের জামিন আদেশ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করে ইমরান খান। আদালতে জামিন হওয়ার পর তাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, আদালত আমাকে জামিন দেওয়ার পরও তারা আমাকে আদালত থেকে বের হতে দিচ্ছে না এবং আমাকে বলেছে যে আমি একজন মুক্ত মানুষ। তারা বারবার অজুহাত দিচ্ছে।

তবে ভিডিও প্রকাশের প্রায় ৩০ মিনিট পর তাকে আদালত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তির পর আরেকটি ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, তিনি তার নিজ শহর লাহোরে ফিরে যাচ্ছেন। তার জন্য এগিয়ে আসায় সমর্থকদের ধন্যবাদও জানান পাকিস্তানের সাবেক এই জনপ্রিয় ক্রিকেটার।

লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনের সামনে এ সময় সমবেত হন হাজার হাজার সমর্থক। বাড়িতে প্রবেশ করার পর পরিবার ও দলের সদস্যরা ইমরান খানকে স্বাগত জানান।

ঘরে ফেরার সময় এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান বলেন, আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয়েছে। পাকিস্তানে বিরোধী রাজনীতিকদের প্রায়শই এ ধরনের মামলার মুখে পড়তে হয়।

সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি

ইমরান খান যখন ২০১৮ সালে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেন তখন সেনাবাহিনীর সাথে তার মধুর সম্পর্ক ছিল। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, সেনাবাহিনী সাহায্য নিয়েই তিনি সেবার বিজয়ী হন। কিন্তু চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে একটা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সাথে তার সম্পর্কে টানাপোড়ন তৈরি হয়।

গত কয়েক মাসের ঘটনায় বুঝা যায়, তাদের সম্পর্ক এখন কতটা বৈরি হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান হয়ে ওঠেন সেনাবাহিনীর সবচেয়ে কঠোর সমালোচক।

পাকিস্তানের অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সংযম প্রদর্শন এবং আইনের শাসন বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, এরকম পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শন এবং মাথা ঠাণ্ডা রাখা দরকার। পাকিস্তানের যেসব চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলা এবং দেশটি কোন পথে যাবে তা একমাত্র পাকিস্তানের জনগণই নির্ধারণ করতে পারে। সেটা করতে হবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এবং আইনের শাসন বজায় রেখে। সূত্র:  বিবিসি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে দায়ী করলেন ইমরান খান

প্রকাশের সময় : ০২:১২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান তার নিজের গ্রেফতার ও তার জেরে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্য সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি, সেনাপ্রধান তাকে ‘ভুল বুঝছেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন ইমরান।

মঙ্গলবার (৯ মে) ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এরপর নানা নাটকীয়তা শেষে শুক্রবার (১২ মে) তাকে জামিন দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এরপর তিনি তার লাহোরের বাসভবনে ফিরেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন ইমরান খান। আদালতে শুনানির বিরতিতে বিবিসির সাংবাদিক ক্যারোলিন ডেভিসকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে ক্যারোলিন প্রশ্ন করেন মঙ্গলবারের গ্রেফতার ও তার জেরে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতার জন্য সামরিক বাহিনীর কতখানি দায় আছে বলে মরেন করেন পিটিআই চেয়ারম্যান।

উত্তরে ইমরান খান বলেন, যা কিছু ঘটছে, তার জন্য একজনই দায়ী, তিনি হচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। গত কয়েকদিন ধরে যা যা হচ্ছে তাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সেনাসদ্যদের আমি দোষ দেব না তবে একজনকে অবশ্যই দায়ী করব— আর তিনি হলেন সেনাপ্রধান। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে এখন গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সম্প্রতি সামরিক বাহিনী যে অপমানের শিকার হলো— তার দায়ও সেনাপ্রধানকে নিতে হবে।

বিবিসিকে ইমরান খান বলেন, তিনি (সেনাপ্রধান আসিম মুনির) সবসময়ই এই ভয়ে থাকেন যে যদি আমি ক্ষমতায় আসি, সেক্ষেত্রে তাকে আমি পদচ্যুত করব। অথচ আমি তাকে বোঝাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিৃ এমনকি লিখিত বার্তা দিয়েও জানিয়েছি— এমনটা আমি করব নাৃ কিন্তু সে আমার ওপর বিশ্বার রাখতে পারছে না। তার মনে এই ধারণা গেড়ে বসেছে (ক্ষমতায় গেলে) আমি তাকে পদচ্যুত করবই। বর্তমানে দেশে যা যা হচ্ছে— সবকিছু তার সরাসরি নির্দেশে হচ্ছে।

এর আগে ইমরান খানকে তার জামিনের শুনানির জন্য শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদের হাইকোর্টে হাজির করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার (১১ মে) তার গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল এক রায়ে ইমরান খানের গ্রেফতারকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ইমরান খানের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত দশজন নিহত হয়েছে।

তবে ইমরান খানকে তার নিজের নিরাপত্তার জন্য শুক্রবার (১২ মে) জামিনের শুনানির জন্য আদালতে হাজির করার আগে পর্যন্ত পুলিশের পাহারায় রাখতে বলা হয়েছিল। ইমরান খানকে আদালতে হাজির করা হয় কড়া নিরাপত্তায় এক বিরাট গাড়ি বহরের সঙ্গে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে মোতায়েন রাখা হয়েছিল অনেক পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য।

কালো চশমা এবং আকাশ-নীল রঙের সালওয়ার-কামিজ পরা ইমরান খান যখন হেঁটে আদালত ভবনে ঢোকেন তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা। তাদের ঘিরে রেখেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সদস্যরা আদালত ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে শ্লোগান দেয়। ইমরান খানকে তখন তার সমর্থকদের দিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলতে দেখা যায়।

জামিনের পর ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তার নিজ শহর লাহোরের দিকে রওনা হন। জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর তিনি কয়েক ঘন্টা ভেতরে ছিলেন, এই বলে যে তাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বের হতে দিচ্ছেন না।

আদালতের জামিন আদেশ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করে ইমরান খান। আদালতে জামিন হওয়ার পর তাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, আদালত আমাকে জামিন দেওয়ার পরও তারা আমাকে আদালত থেকে বের হতে দিচ্ছে না এবং আমাকে বলেছে যে আমি একজন মুক্ত মানুষ। তারা বারবার অজুহাত দিচ্ছে।

তবে ভিডিও প্রকাশের প্রায় ৩০ মিনিট পর তাকে আদালত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তির পর আরেকটি ভিডিও বার্তায় ইমরান খান বলেন, তিনি তার নিজ শহর লাহোরে ফিরে যাচ্ছেন। তার জন্য এগিয়ে আসায় সমর্থকদের ধন্যবাদও জানান পাকিস্তানের সাবেক এই জনপ্রিয় ক্রিকেটার।

লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনের সামনে এ সময় সমবেত হন হাজার হাজার সমর্থক। বাড়িতে প্রবেশ করার পর পরিবার ও দলের সদস্যরা ইমরান খানকে স্বাগত জানান।

ঘরে ফেরার সময় এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান বলেন, আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয়েছে। পাকিস্তানে বিরোধী রাজনীতিকদের প্রায়শই এ ধরনের মামলার মুখে পড়তে হয়।

সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি

ইমরান খান যখন ২০১৮ সালে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসেন তখন সেনাবাহিনীর সাথে তার মধুর সম্পর্ক ছিল। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, সেনাবাহিনী সাহায্য নিয়েই তিনি সেবার বিজয়ী হন। কিন্তু চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে একটা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সাথে তার সম্পর্কে টানাপোড়ন তৈরি হয়।

গত কয়েক মাসের ঘটনায় বুঝা যায়, তাদের সম্পর্ক এখন কতটা বৈরি হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান হয়ে ওঠেন সেনাবাহিনীর সবচেয়ে কঠোর সমালোচক।

পাকিস্তানের অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সংযম প্রদর্শন এবং আইনের শাসন বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, এরকম পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শন এবং মাথা ঠাণ্ডা রাখা দরকার। পাকিস্তানের যেসব চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলা এবং দেশটি কোন পথে যাবে তা একমাত্র পাকিস্তানের জনগণই নির্ধারণ করতে পারে। সেটা করতে হবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এবং আইনের শাসন বজায় রেখে। সূত্র:  বিবিসি।