নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদারীপুরে একপাশে সংযোগ সড়ক ও রাস্তা না থাকায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু জনগণের কাজেই আসছে না। এতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের যাতায়াতসহ কৃষিপণ্য আনানেয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছয় ইউনিয়নের মানুষের।
সেতুটির উত্তর পাশ থেকে রাস্তি ইউনিয়ন পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে আড়াই কোটি টাকার চাহিদা চেয়ে কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে রাস্তা নির্মাণ করা হলে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে আশা এলাকাবাসীর।
জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিলে মাদারীপুরের লক্ষ্মীগঞ্জের কুমার নদের ওপর ৯৯ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ শুরু করে স্থানীয় সরকার অধিদফতর (এলজিইডি)। ২০২১ সালের জুনে কাজের মেয়াদ শেষ হয়। সেতুটির দক্ষিণ পাশে সংযোগ সড়ক থাকলেও উত্তর পাশে নেই সংযোগ সড়ক কিংবা রাস্তা। এতে সরাসরি সেতুর সুফল পাচ্ছেন না পাঁচখোলা, রাস্তি, কালিকাপুরসহ অন্তত ছয়টি ইউনিয়ন ও মাদারীপুর পৌরসভার একাংশের পথচারী, শিক্ষার্থী ও যাতায়াতকারীরা।
সৈয়দ আশিকুর রহমান নামে এক পথচারী বলেন, অনেক দূর ঘুরে জমির ওপর দিয়ে আসা লাগে। রাস্তাটা থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো। বৃষ্টির মধ্যে এখান দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়।
আরেকজন বশির আহম্মেদ বলেন, রাস্তা না থাকায় আমাদের চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়। একটা মানুষ অসুস্থ হলে অনেক দূর ঘুরিয়ে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। রাস্তাটা না হওয়ার কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার বলেন, এখানে যাতায়াত করতে অসুধিবা, রোগী নিয়ে যাওয়া-আসা করতে সমস্যা। একটি গাড়ি বা ভ্যানও চালিয়ে সেতুর ওপর ওঠা যায় না।
মাদারীপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী খান বলেন, জনগণের দুর্ভোগ কমাতে নেয়া হয়েছে বড় প্রকল্প, যা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান। চলতি বছরেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, রাস্তা ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখা হবে। দ্রুত জনগণের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 

























