Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসির নিবন্ধন পেতে আদালতে যাবে জাতীয় দল: এহসানুল হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে বাংলাদেশ জাতীয় দল আদালতে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দলের নিবন্ধন পাওয়ার তিনটি শর্তের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় শর্ত (আ) ধারা অনুযায়ী আবেদন করি। যে শর্তের মধ্যে উল্লেখ আছে যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে যেকোনো একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচিত এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোট সংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ ভোট লাভের সমর্থনে কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল হুদা ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তৎকালীন ময়মনসিংহ-২৩ বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে খেজুর গাছ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রদত্ত ভোটের ১২.৭% ভোট পান।

হুদা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে প্রদত্ত ভোটের ফলাফলের দালিলিক বিবরণ দাখিল করে কমিশনের কাছে ১২.৭% ভোট পাওয়ার প্রত্যয়নপত্রের জন্য আবেদন করলে কমিশনপত্র মারফত জানায় কমিশনের তথ্য সংরক্ষিত না থাকায় প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা সম্ভব নয়। আমরা কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রাপ্ত ভোটের যে তালিকা দাখিল করলাম এটা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে তথ্য সংরক্ষিত নাই কথাটা বলা একেবারে অযৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, ১২.৭% ভোট পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়ে কমিশন আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে যেন আমরা নতুন কোনো দলের জন্য নিবন্ধনের দরখাস্ত করেছি। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম পদবির সঙ্গে এনআইডি নম্বরসহ অনেককিছু দিতে বলে যা নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত আবেদনপত্রের সঙ্গে আবশ্যকীয় দলিলাদি বহির্ভূত।

এহসানুল হুদা বলেন, চূড়ান্তভাবে কমিশন উল্লেখ করেছে- ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯০ খ (১) (ক) (আ) এর শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ায় কমিশনের কাছে দলটি নিবন্ধের যোগ্য বিবেচিত হয়নি। অথচ কমিশন গণপ্রতিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর যে ধারা উল্লেখ করে জাতীয় দলের শর্তপূরণ হয়নি বলে নিবন্ধন অযোগ্য ঘোষণা দিয়েছে, সেই ধারায় একমাত্র শর্ত হচ্ছে, ৫% ভোট প্রাপ্তি। যেটা জাতীয় দল দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ ১২.৭% ভোট পেয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এই ১২.৭% ভোট প্রাপ্তি এবং কমিশনের দেওয়া প্রত্যয়নপত্রের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীন একটি মন্দ নজির সৃষ্টি করেছে, যা ন্যক্কারজনক এবং লজ্জাষ্কর।’

জাতীয় দলের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি- ৪০টি দলের কোনটি কোন প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের যোগ্য হয়েছে তা প্রকাশ করে জনগণকে জানানো হোক এবং যে ১২টি দলকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে তাদের নিবন্ধন পাওয়ার যৌক্তিক কারণ ও যোগ্যতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তুলে ধরা হোক। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আমাদের এবং জনগণের এসব বিষয় সম্পর্কে জানার অধিকার আছে। তাছাড়া আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে প্রমাণ করব বাংলাদেশ জাতীয় দল নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক নিবন্ধন পাওয়ার শতভাগ যোগ্য।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, সারোয়ার আলম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাবিব লিটন, জিয়াউল হক জিয়া ও প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীমসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ইসির নিবন্ধন পেতে আদালতে যাবে জাতীয় দল: এহসানুল হুদা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে বাংলাদেশ জাতীয় দল আদালতে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দলের নিবন্ধন পাওয়ার তিনটি শর্তের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় শর্ত (আ) ধারা অনুযায়ী আবেদন করি। যে শর্তের মধ্যে উল্লেখ আছে যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে যেকোনো একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচিত এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোট সংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ ভোট লাভের সমর্থনে কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল হুদা ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তৎকালীন ময়মনসিংহ-২৩ বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে খেজুর গাছ মার্কা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রদত্ত ভোটের ১২.৭% ভোট পান।

হুদা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে প্রদত্ত ভোটের ফলাফলের দালিলিক বিবরণ দাখিল করে কমিশনের কাছে ১২.৭% ভোট পাওয়ার প্রত্যয়নপত্রের জন্য আবেদন করলে কমিশনপত্র মারফত জানায় কমিশনের তথ্য সংরক্ষিত না থাকায় প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা সম্ভব নয়। আমরা কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রাপ্ত ভোটের যে তালিকা দাখিল করলাম এটা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে তথ্য সংরক্ষিত নাই কথাটা বলা একেবারে অযৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, ১২.৭% ভোট পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়ে কমিশন আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে যেন আমরা নতুন কোনো দলের জন্য নিবন্ধনের দরখাস্ত করেছি। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম পদবির সঙ্গে এনআইডি নম্বরসহ অনেককিছু দিতে বলে যা নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত আবেদনপত্রের সঙ্গে আবশ্যকীয় দলিলাদি বহির্ভূত।

এহসানুল হুদা বলেন, চূড়ান্তভাবে কমিশন উল্লেখ করেছে- ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯০ খ (১) (ক) (আ) এর শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ায় কমিশনের কাছে দলটি নিবন্ধের যোগ্য বিবেচিত হয়নি। অথচ কমিশন গণপ্রতিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর যে ধারা উল্লেখ করে জাতীয় দলের শর্তপূরণ হয়নি বলে নিবন্ধন অযোগ্য ঘোষণা দিয়েছে, সেই ধারায় একমাত্র শর্ত হচ্ছে, ৫% ভোট প্রাপ্তি। যেটা জাতীয় দল দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ ১২.৭% ভোট পেয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এই ১২.৭% ভোট প্রাপ্তি এবং কমিশনের দেওয়া প্রত্যয়নপত্রের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীন একটি মন্দ নজির সৃষ্টি করেছে, যা ন্যক্কারজনক এবং লজ্জাষ্কর।’

জাতীয় দলের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি- ৪০টি দলের কোনটি কোন প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের যোগ্য হয়েছে তা প্রকাশ করে জনগণকে জানানো হোক এবং যে ১২টি দলকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে তাদের নিবন্ধন পাওয়ার যৌক্তিক কারণ ও যোগ্যতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তুলে ধরা হোক। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আমাদের এবং জনগণের এসব বিষয় সম্পর্কে জানার অধিকার আছে। তাছাড়া আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে প্রমাণ করব বাংলাদেশ জাতীয় দল নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক নিবন্ধন পাওয়ার শতভাগ যোগ্য।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, সারোয়ার আলম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাবিব লিটন, জিয়াউল হক জিয়া ও প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীমসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।