Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসছে ‘কম ভাড়ার’ এয়ারলাইন্স উইজ এয়ার, উড়বে চট্টগ্রাম থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পৃথিবীর অন্যতম কম ভাড়ার উড়ান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উইজ এয়ার বাংলাদেশের আকাশে ডানা মেলতে যাচ্ছে। এ দেশে ওড়ার অনুমতি পেতে ইতিমধ্যে আবেদনও করেছে আবুধাবিভিত্তিক এই এয়ারলাইন্সটি। মে মাসের মধ্যেই অনুমতি পাওয়ার কথা রয়েছে।

উইজ এয়ার বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে শুরু করলে তুলনামূলক কম ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করবে। শুরুতে চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে যাত্রী পরিবহন করবে বিদেশি এই এয়ারলাইন্স। বর্তমানে আমিরাতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ৬টি এয়ারলাইন্স।

বেবিচকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানান, উইজ এয়ার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবিতে এবং আবুধাবি থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করে। ঢাকায় প্লেন রাখার জায়গা সংকট রয়েছে। তাই তাদের ফ্লাইট চট্টগ্রামে পরিচালনার অনুমতি দিতে পারে বেবিচক। এবিষয়ে আমিরাতের ডেলিগেশন টিমের সঙ্গে আগামী ১৫ অথবা ১৬ মে তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তাদের ডেলিগেশন টিমে থাকবে আমিরাতের জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (জিসিসিএ), এভিয়েশন রেগুলেটরি বডি অব ইউএই এবং উইজ এয়ার কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দেশগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ফ্লাই দুবাই, এয়ার অ্যারাবিয়া। এছাড়াও বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও ইউএই’তে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বিশ্বে কমদামি টিকিট বিক্রির জন্য বিখ্যাত এয়ারলাইন্স হিসেবে খ্যাতি আছে ‘উইজ এয়ারের’। ২০০৪ সালে অপারেশনে আসা উইজ এয়ার মূলত হাঙ্গেরিভিত্তিক এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইউরোপে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তারা আবুধাবিতে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তাকে ‘উইজ এয়ার আবুধাবি’ নামকরণ করে। কোম্পানি আইনের ভাষায় উইজ এয়ার আবুধাবি মূলত উইজ এয়ারের একটি ‘ডটার কোম্পানি’।

এয়ারলাইন্সটির বর্তমানে ১৭৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। তারা বাংলাদেশি যাত্রীদের ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এয়ারলাইন্সটি যাত্রীদের অনেক কমদামে টিকিট দেয়। তবে এটি শুধু যাত্রীর ভ্রমণ ভাড়া। ফ্লাইটে খাবার খেতে বা চেক-ইন লাগেজ নিতে হলে যাত্রীকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

আসছে ‘কম ভাড়ার’ এয়ারলাইন্স উইজ এয়ার, উড়বে চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পৃথিবীর অন্যতম কম ভাড়ার উড়ান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উইজ এয়ার বাংলাদেশের আকাশে ডানা মেলতে যাচ্ছে। এ দেশে ওড়ার অনুমতি পেতে ইতিমধ্যে আবেদনও করেছে আবুধাবিভিত্তিক এই এয়ারলাইন্সটি। মে মাসের মধ্যেই অনুমতি পাওয়ার কথা রয়েছে।

উইজ এয়ার বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে শুরু করলে তুলনামূলক কম ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করবে। শুরুতে চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে যাত্রী পরিবহন করবে বিদেশি এই এয়ারলাইন্স। বর্তমানে আমিরাতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ৬টি এয়ারলাইন্স।

বেবিচকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানান, উইজ এয়ার ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবিতে এবং আবুধাবি থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করে। ঢাকায় প্লেন রাখার জায়গা সংকট রয়েছে। তাই তাদের ফ্লাইট চট্টগ্রামে পরিচালনার অনুমতি দিতে পারে বেবিচক। এবিষয়ে আমিরাতের ডেলিগেশন টিমের সঙ্গে আগামী ১৫ অথবা ১৬ মে তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তাদের ডেলিগেশন টিমে থাকবে আমিরাতের জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (জিসিসিএ), এভিয়েশন রেগুলেটরি বডি অব ইউএই এবং উইজ এয়ার কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দেশগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ফ্লাই দুবাই, এয়ার অ্যারাবিয়া। এছাড়াও বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও ইউএই’তে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বিশ্বে কমদামি টিকিট বিক্রির জন্য বিখ্যাত এয়ারলাইন্স হিসেবে খ্যাতি আছে ‘উইজ এয়ারের’। ২০০৪ সালে অপারেশনে আসা উইজ এয়ার মূলত হাঙ্গেরিভিত্তিক এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইউরোপে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তারা আবুধাবিতে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তাকে ‘উইজ এয়ার আবুধাবি’ নামকরণ করে। কোম্পানি আইনের ভাষায় উইজ এয়ার আবুধাবি মূলত উইজ এয়ারের একটি ‘ডটার কোম্পানি’।

এয়ারলাইন্সটির বর্তমানে ১৭৯টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। তারা বাংলাদেশি যাত্রীদের ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এয়ারলাইন্সটি যাত্রীদের অনেক কমদামে টিকিট দেয়। তবে এটি শুধু যাত্রীর ভ্রমণ ভাড়া। ফ্লাইটে খাবার খেতে বা চেক-ইন লাগেজ নিতে হলে যাত্রীকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে।