Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে তালাক দিলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

স্বামী মার্কাস রাইকোনেনকে তালাক দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। এ উদ্দেশ্যে স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন সানা। প্রায় তিন বছর আগে মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে জড়িয়েছিলেন এ প্রধানমন্ত্রী। যদিও গত ১৯ বছর ধরে একসঙ্গে ছিলেন তারা।

বুধবার (১০ মে) মারিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে এমন ঘোষণা দেন।

ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সানা মারিন বলেন, আমরা দুইজনেই বিচ্ছেদের আবেদন করেছি। ১৯ বছর একসঙ্গে থাকা ও আমাদের প্রিয় কন্যার জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা এখনো ভালো বন্ধু এবং একে অপরের ওপর শ্রদ্ধাশীল। ভবিষতে পরিবার হিসেবে আমরা একসঙ্গে সময় কাটাবো।

মারিনের স্বামী মার্কাস রাইকোনেন একজন ব্যবসায়ী ও সাবেক পেশাদার ফুটবলার। মেরিন এবং রাইকোনেন একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মে কাজ করেছেন। তাদের একটি ৫ বছর বয়সী কন্যা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করার সময় ২০২০ সালে রাইকোনেনকে বিয়ে করেছিলেন মেরিন।

sana mari divorse

২০২০ সালের আগস্টে রাইকোনেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সানা মারিন ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, আমরা আমাদের যৌবন একসাথে কাটিয়েছি, একসাথে যৌবনে প্রবেশ করেছি এবং একসাথে আমাদের প্রিয় মেয়ের বাবা-মা হয়েছি।

রয়টার্স বলছে, সানা মেরিন এবং তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গত মাসে ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টের নির্বাচনে হেরে যায়। এমনকি ওই নির্বাচনে ডানপন্থি ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টির পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী ফিনস পার্টিরও পেছনে পড়ে যায় সানার দল। তবে নতুন জোট সরকার গঠনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছরের আগস্টে পার্টি করার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় সানা মারিনকে নিয়ে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দেশটির কয়েকজন সেলিব্রেটি ও তার বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন ও গান গাইছেন। পরে তার ড্রাগ টেস্ট করা হয় এবং ফলাফল নেগেটিভ আসে।

6

এরপর সানা মারিন আলোচনায় আসেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর। ওই যুদ্ধ শুরুর পর ফিনল্যান্ডকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘ন্যাটো’-তে যুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। তার প্রচেষ্টাতেই ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হয়। কিন্তু ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আগেই ক্ষমতা হারান তিনি। নির্বাচনে হেরে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশটির ডানপস্থি দল ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টি। যদিও এখনও মারিন দেশটির অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন সানা মারিন। সেসময় বিশ্বজুড়ে তার ভক্তরা প্রগতিশীল নতুন নেতাদের জন্য তাকে সহস্রাব্দের রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করেছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বামীকে তালাক দিলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:০১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

স্বামী মার্কাস রাইকোনেনকে তালাক দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। এ উদ্দেশ্যে স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন সানা। প্রায় তিন বছর আগে মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে জড়িয়েছিলেন এ প্রধানমন্ত্রী। যদিও গত ১৯ বছর ধরে একসঙ্গে ছিলেন তারা।

বুধবার (১০ মে) মারিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে এমন ঘোষণা দেন।

ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সানা মারিন বলেন, আমরা দুইজনেই বিচ্ছেদের আবেদন করেছি। ১৯ বছর একসঙ্গে থাকা ও আমাদের প্রিয় কন্যার জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা এখনো ভালো বন্ধু এবং একে অপরের ওপর শ্রদ্ধাশীল। ভবিষতে পরিবার হিসেবে আমরা একসঙ্গে সময় কাটাবো।

মারিনের স্বামী মার্কাস রাইকোনেন একজন ব্যবসায়ী ও সাবেক পেশাদার ফুটবলার। মেরিন এবং রাইকোনেন একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মে কাজ করেছেন। তাদের একটি ৫ বছর বয়সী কন্যা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করার সময় ২০২০ সালে রাইকোনেনকে বিয়ে করেছিলেন মেরিন।

sana mari divorse

২০২০ সালের আগস্টে রাইকোনেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সানা মারিন ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, আমরা আমাদের যৌবন একসাথে কাটিয়েছি, একসাথে যৌবনে প্রবেশ করেছি এবং একসাথে আমাদের প্রিয় মেয়ের বাবা-মা হয়েছি।

রয়টার্স বলছে, সানা মেরিন এবং তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গত মাসে ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টের নির্বাচনে হেরে যায়। এমনকি ওই নির্বাচনে ডানপন্থি ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টির পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী ফিনস পার্টিরও পেছনে পড়ে যায় সানার দল। তবে নতুন জোট সরকার গঠনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছরের আগস্টে পার্টি করার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় সানা মারিনকে নিয়ে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দেশটির কয়েকজন সেলিব্রেটি ও তার বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন ও গান গাইছেন। পরে তার ড্রাগ টেস্ট করা হয় এবং ফলাফল নেগেটিভ আসে।

6

এরপর সানা মারিন আলোচনায় আসেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর। ওই যুদ্ধ শুরুর পর ফিনল্যান্ডকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘ন্যাটো’-তে যুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। তার প্রচেষ্টাতেই ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হয়। কিন্তু ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আগেই ক্ষমতা হারান তিনি। নির্বাচনে হেরে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশটির ডানপস্থি দল ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টি। যদিও এখনও মারিন দেশটির অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন সানা মারিন। সেসময় বিশ্বজুড়ে তার ভক্তরা প্রগতিশীল নতুন নেতাদের জন্য তাকে সহস্রাব্দের রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করেছিল।