আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি আদালত জানিয়েছেন, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখিকা ই জিন ক্যারলের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিলেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রাম্প। নব্বইয়ের দশকে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যৌন নিপীড়ন ও হেনস্তার ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মঙ্গলবার (৯ মে) ওই লেখিকা প্রায় ৫০ লাখ ডলার পাবেন।
তবে এ মামলার রায়ের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে হাজির ছিলেন না। ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারীর সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের সামনে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
নিউইয়র্কে একটি আইন পাস হয়েছে, সে অনুযায়ী ভুক্তভোগী কেউ চাইলে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বহু বছর পরও অভিযোগ আনতে বা মামলা করতে পারেন। ওই আইনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার পেলেন লেখিকা ই জিন ক্যারল।
রায় ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান পার্টি বলেছে, এই মামলাটি একেবারেই বানোয়াট একটি মামলা, এটি ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে হয় করার একটা চক্রান্ত। কারণ আগামী নির্বাচনে তিনি আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন।
ট্রাম্পের দল বলেছে, তারা এই মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
ক্যারল দাবি করেছেন, ১৯৯৬ সালে এক বান্ধবীর উপহার কেনার জন্য ট্রাম্প ক্যারলকে ডেকেছিলেন। তারা ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গেছিলেন। সেখানে কথা বলতে বলতে ক্যারলকে নিয়ে ট্রাম্প ট্রায়ালরুমে ঢুকে পড়েন এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ক্যারল জানিয়েছেন, কোনোমতে ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং পালিয়ে যান। পরে এই পুরো ঘটনার কথাই তিনি লিখেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রকাশ্যে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন। ২০২২ সালে নিজের তৈরি সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও ট্রাম্প একই কথা লিখেছেন।
৭৯ বছরের ক্যারলের আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে তারা খুশি। তবে ক্যারল কিছু জানাননি। অন্যদিকে ট্রাম্পও এখনো বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। ট্রাম্প নির্দোষ।
ফৌজদারি মামলা আরো একটি ফৌজদারি মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তিনিই একমাত্র সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। অভিযোগ, এক অভিনেত্রীকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তিনি কয়েক মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ওই অভিনেত্রীও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচনের আগে ওই অভিনেত্রীর মুখ বন্ধ করতে ওই অর্থ দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই বড়সড় ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি।