Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সখীপুরে ব্রিজ না থাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে দুর্ভোগ গ্রামবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো ও নৌকা। উপজেলার বংশাই নদীর বড়ইতলা এলাকায় ব্রিজ না থাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে এ দুর্ভোগ। এই বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়েই এই এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়ত করে শিক্ষার্থীরা এবং সাপ্তাহিক হাট-বাজারে আসে হাজারো মানুষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর, কৈয়ামধু, আকন্দপাড়া, নয়াপাড়া, দোপাপাড়া, কাছারপাড়া, আবাদী, মাজারপাড়া, সারিপ্যাচ, খালপাড়া ও বাসাইল উপজেলার গিলাবাড়ি, কল্যাণপুর, ডুংলিপাড়া, বার্তা, কাউলজানি ও সুন্ন্যা গ্রামের সাধারণ মানুষেল চলাচলের মাধ্যম বংশাই নদীর এই বাঁশের সাঁকো ও নৌকা। ধান, চাল অন্যান্য মালামাসহ গর্ভবতী মা, বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষকে জীবনের ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হয় এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

ব্রিজের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাববন্ধন করাসহ বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের ধারস্থ হলে শুধু প্রতিশ্রুতিই পেয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, একটি কিন্ডারগার্টেন ও তিনটি সাপ্তাহিক হাটে যাতায়াত করতে এই বাঁশের সাঁকোই ভরসা বলে জানায় স্থানীয়রা।

বড়ইতলা গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, বয়স্ক ও গর্ভবতী মায়েদের নিয়েই এই সাঁকোর পাড়ে আতঙ্কে থাকে সবাই। তাছাড়া বর্ষার সময় নৌকা আর সারা বছর বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হয়।

এসএ উচ্চ বিদ্যালয়েল সহকারী শিক্ষক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বাঁশের সাাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারাপারের সময় এই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বড়ইতলা এলাকায় একটি ব্রিজ হলে অনেকগুলো গ্রামের মানুষের উপকার হতো।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে অনেক গুলো ব্রিজ ও কালবার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। আরও অনেকগুলো ব্রিজ ও কালবার্ট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি তার মধ্যে বড়ইতলার এই ব্রিজের কাজও হয়ে যাবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সখীপুরে ব্রিজ না থাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে দুর্ভোগ গ্রামবাসীর

প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো ও নৌকা। উপজেলার বংশাই নদীর বড়ইতলা এলাকায় ব্রিজ না থাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে এ দুর্ভোগ। এই বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়েই এই এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়ত করে শিক্ষার্থীরা এবং সাপ্তাহিক হাট-বাজারে আসে হাজারো মানুষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর, কৈয়ামধু, আকন্দপাড়া, নয়াপাড়া, দোপাপাড়া, কাছারপাড়া, আবাদী, মাজারপাড়া, সারিপ্যাচ, খালপাড়া ও বাসাইল উপজেলার গিলাবাড়ি, কল্যাণপুর, ডুংলিপাড়া, বার্তা, কাউলজানি ও সুন্ন্যা গ্রামের সাধারণ মানুষেল চলাচলের মাধ্যম বংশাই নদীর এই বাঁশের সাঁকো ও নৌকা। ধান, চাল অন্যান্য মালামাসহ গর্ভবতী মা, বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষকে জীবনের ঝুকি নিয়েই চলাচল করতে হয় এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

ব্রিজের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাববন্ধন করাসহ বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের ধারস্থ হলে শুধু প্রতিশ্রুতিই পেয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, একটি কিন্ডারগার্টেন ও তিনটি সাপ্তাহিক হাটে যাতায়াত করতে এই বাঁশের সাঁকোই ভরসা বলে জানায় স্থানীয়রা।

বড়ইতলা গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, বয়স্ক ও গর্ভবতী মায়েদের নিয়েই এই সাঁকোর পাড়ে আতঙ্কে থাকে সবাই। তাছাড়া বর্ষার সময় নৌকা আর সারা বছর বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হয়।

এসএ উচ্চ বিদ্যালয়েল সহকারী শিক্ষক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বাঁশের সাাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারাপারের সময় এই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বড়ইতলা এলাকায় একটি ব্রিজ হলে অনেকগুলো গ্রামের মানুষের উপকার হতো।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে অনেক গুলো ব্রিজ ও কালবার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। আরও অনেকগুলো ব্রিজ ও কালবার্ট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি তার মধ্যে বড়ইতলার এই ব্রিজের কাজও হয়ে যাবে।