Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীর ফুটপাতে হকার এবং সড়ক নির্মাণ সামগ্রীর দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার সড়ক দখল করে চলছে নির্মাণ সামগ্রীর রমরমা বাণিজ্য। আর ফুটপাতের বেশিরভাগ হকারের দখলে। অভিযোগ আছে, চাঁদার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নরসিংদীর শহরে চলছে এই নৈরাজ্য। পৌর মেয়রের গতানুগতিক আশ্বাস ও সড়ক ও ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে দায় সারছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণ সামগ্রী রাখা যেখানে নিষেধ সেখানেই বালি এবং ইটের স্তূপ। এমন দৃশ্য নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার। শুধু পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী নয় শহরের প্রধান সড়ক আরশীনগর, শহীদ সাত্তার সড়ক, বৌয়াকুর মোড়, ব্রাহ্মন্দী বয়েজ স্কুল মোড় এবং সাটিরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে ফুটপাত এবং সড়ক দখল করে রাখা হয়েছে ইট, বালি, রড ও পাথর।

নতুন ভবন নির্মাণের অজুহাতে প্রভাবশালীদের দাপটে সড়ক দখল করে মোড়ে মোড়ে চলে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা। এছাড়া, শহরের সিঅ্যান্ডবি রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও বড় বাজার এলাকায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ফুটপাত এবং সড়ক উভয়ই দখল করে বসেছে শত শত ভাসমান দোকান। যা পথচারীদের সমস্যায় ফেলার পাশাপাশি শহরের যান চলাচলে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অটোরিকশা চালক কবির হোসেন জানান, রাস্তায় ইট বালু রাখার ফলে অনেক সময় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। এতে লম্বা যানজট লেগে যায়। যেখানে শিক্ষা চত্বর থেকে ভেলানগর যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট সেখানে রাস্তায় ইট বালু রাখার কারণে যানজট সৃষ্টি হলে যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। এতে আমাদের আয়ও কমে যায়।

অন্যদিকে কাউসার আহম্মেদ নামে এক পথচারী বলেন, সড়কে ইট, বালি, রড ও পাথরসহ নানাবিধ নির্মাণ সামগ্রী ফেলে চলছে ব্যবসা। আর ফুটপাতগুলো হকাররা দখল করে রাখায় আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় স্কুলের বাচ্চারা ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে না পেরে রাস্তা দিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। একই সঙ্গে এসবের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এ সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চাই।

স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সড়কে নির্মাণ সামগ্রী রাখার পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে ফুটপাত ও সড়কে ভাসমান দোকান বসানোর অভিযোগ উঠেছে।

হকাররা জানান, একেকটি দোকান থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হয়। তাদেরকে অন্যত্র ব্যবস্থা করে দিলে সেখানে যেতে রাজি আছেন। কিন্তু সেটা না হলে এখানেই তাদের ব্যবসা করতে হবে।

নরসিংদীর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলে কিছুদিন পর পুনরায় দখল করা হচ্ছে। তবে টাকার বিনিময়ে দোকান বসছে, এমন অভিযোগ পাইনি।

অচিরেই ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

নরসিংদী পৌর শহরের ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ৫০০ দোকান ও সড়কের ৩০টি পয়েন্টে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

নরসিংদীর ফুটপাতে হকার এবং সড়ক নির্মাণ সামগ্রীর দখলে

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার সড়ক দখল করে চলছে নির্মাণ সামগ্রীর রমরমা বাণিজ্য। আর ফুটপাতের বেশিরভাগ হকারের দখলে। অভিযোগ আছে, চাঁদার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নরসিংদীর শহরে চলছে এই নৈরাজ্য। পৌর মেয়রের গতানুগতিক আশ্বাস ও সড়ক ও ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে দায় সারছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণ সামগ্রী রাখা যেখানে নিষেধ সেখানেই বালি এবং ইটের স্তূপ। এমন দৃশ্য নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার। শুধু পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী নয় শহরের প্রধান সড়ক আরশীনগর, শহীদ সাত্তার সড়ক, বৌয়াকুর মোড়, ব্রাহ্মন্দী বয়েজ স্কুল মোড় এবং সাটিরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে ফুটপাত এবং সড়ক দখল করে রাখা হয়েছে ইট, বালি, রড ও পাথর।

নতুন ভবন নির্মাণের অজুহাতে প্রভাবশালীদের দাপটে সড়ক দখল করে মোড়ে মোড়ে চলে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা। এছাড়া, শহরের সিঅ্যান্ডবি রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও বড় বাজার এলাকায় তিন কিলোমিটার জুড়ে ফুটপাত এবং সড়ক উভয়ই দখল করে বসেছে শত শত ভাসমান দোকান। যা পথচারীদের সমস্যায় ফেলার পাশাপাশি শহরের যান চলাচলে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অটোরিকশা চালক কবির হোসেন জানান, রাস্তায় ইট বালু রাখার ফলে অনেক সময় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। এতে লম্বা যানজট লেগে যায়। যেখানে শিক্ষা চত্বর থেকে ভেলানগর যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট সেখানে রাস্তায় ইট বালু রাখার কারণে যানজট সৃষ্টি হলে যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। এতে আমাদের আয়ও কমে যায়।

অন্যদিকে কাউসার আহম্মেদ নামে এক পথচারী বলেন, সড়কে ইট, বালি, রড ও পাথরসহ নানাবিধ নির্মাণ সামগ্রী ফেলে চলছে ব্যবসা। আর ফুটপাতগুলো হকাররা দখল করে রাখায় আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় স্কুলের বাচ্চারা ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে না পেরে রাস্তা দিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। একই সঙ্গে এসবের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এ সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চাই।

স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সড়কে নির্মাণ সামগ্রী রাখার পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে ফুটপাত ও সড়কে ভাসমান দোকান বসানোর অভিযোগ উঠেছে।

হকাররা জানান, একেকটি দোকান থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হয়। তাদেরকে অন্যত্র ব্যবস্থা করে দিলে সেখানে যেতে রাজি আছেন। কিন্তু সেটা না হলে এখানেই তাদের ব্যবসা করতে হবে।

নরসিংদীর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলে কিছুদিন পর পুনরায় দখল করা হচ্ছে। তবে টাকার বিনিময়ে দোকান বসছে, এমন অভিযোগ পাইনি।

অচিরেই ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

নরসিংদী পৌর শহরের ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ৫০০ দোকান ও সড়কের ৩০টি পয়েন্টে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে।