নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ব্যাস্ততম সোনামুখী-হরিনাথপুর জিসি সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একাধিক জীবন্ত গাছ রেখেই পিচ ঢালাই শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অপসারণের বিধিবিধান থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এতেকরে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটায় আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সোনামুখী-হরিনাথপুর সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন ছোট বড় কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক, ট্রলি, ভ্যান ছাড়াও যাত্রীবাহী অটো রিকশা, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে সোনামুখী ও হরিনাথপুর হাটবারে এই সড়কের ব্যস্ততা আরো বাড়ে। সড়কের গুরুত্ব বুঝে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডির কাজিপুর উপজেলা কার্যালয়। ইতোমধ্যে এ অংশের কাজ সমাপ্ত হলেও গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ না করায় স্থানীয়দের মাঝে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা জেগেছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক সুজন মিয়া জানান, আগে এই রাস্তা সরু ছিল তখন খুঁটি গুলো রাস্তার একদম পাশে ছিল কিন্তু এখন প্রশস্ত করায় খুঁটিগুলো রাস্তার ভিতরে চলে এসেছে। খুঁটিগুলো না সরানো হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সড়কের পাশের ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, প্রত্যেকদিন এই রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রশস্ত করে যানজট কমে গেছে কিন্তু রাস্তার ভিতরে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় আমরা আতঙ্কে আছি। দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এর দ্রুত সমাধান চাই।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, বিধি মোতাবেক প্রাক্কলনে এ ধরনের গাছ বা খুঁটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া থাকে, ব্যবস্থা করার দাত্ব থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপর।
কাজিপুর উপজেলা এলজিইডির এস ও নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবগত আছেন ও ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি জানান তিনি।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিব বলেন, এখনো পল্লী বিদ্যুৎ এবং বনবিভাগের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ জাকির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম সানোয়ার হোসেন বলেন, খুঁটি রেখে পিচ ঢালাই করার বিধান নেই, অপসারণের আবেদন করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।