Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপিলেও বাতিল জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা নিয়ে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের আপিল বাতিল হয়েছে। তার আবেদন নামঞ্জুর করে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশনের আপিল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলমের আপিলের শুনানি হয়। পরে বিকালে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের আপিল আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও ভোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন খান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার বাছাইয়ে বাদ পড়া মোট সাত প্রার্থী আপিল করেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম, একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও পাঁচজন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। আপিলের শুনানিতে দুজন আইনজীবীসহ জাহাঙ্গীর আলম নিজে উপস্থিত ছিলেন। তারা পুনরায় তফসিলিকরণের জন্য টাকা জমা দেওয়া এবং জামিনদার খেলাপি হয় না বলে দাবি করেন। কিন্তু শুনানিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, আপিলকারী গণ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী এখনো ঋণ খেলাপি। জাহাঙ্গীর আলম যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার সে ঋণ এখনো পুনরায় তফসিলিকরণ হয়নি। পরে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ঋণ খেলাপি ছিলেন। তাই তারা পরে টাকা জমা দিলেও তারা খেলাপি।

মঞ্জুর হোসেন আরও বলেন, উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আপিলকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন। তবে কাউন্সিলর পদে মোহাম্মদ আলী নামে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রার্থীর টাকা জমার রশিদে কোড নম্বর ভুল থাকায় বাতিল হওয়া মনোনয়নটি বৈধ ঘোষণা করেন।

ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ার কারণে গত ৩০ এপ্রিল জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম তা বাতিল বলে ঘোষণা করেন। পরে মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কার্যালয়ের বিভাগীয় অফিসে আপিল করেন জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার টিকিটে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। দুই বছর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এর পর মেয়র পদও হারান। তবে গত ১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরকে দলে ফিরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আপিলেও বাতিল জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা নিয়ে সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের আপিল বাতিল হয়েছে। তার আবেদন নামঞ্জুর করে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশনের আপিল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলমের আপিলের শুনানি হয়। পরে বিকালে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের আপিল আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও ভোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন খান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার বাছাইয়ে বাদ পড়া মোট সাত প্রার্থী আপিল করেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম, একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও পাঁচজন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। আপিলের শুনানিতে দুজন আইনজীবীসহ জাহাঙ্গীর আলম নিজে উপস্থিত ছিলেন। তারা পুনরায় তফসিলিকরণের জন্য টাকা জমা দেওয়া এবং জামিনদার খেলাপি হয় না বলে দাবি করেন। কিন্তু শুনানিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, আপিলকারী গণ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী এখনো ঋণ খেলাপি। জাহাঙ্গীর আলম যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার সে ঋণ এখনো পুনরায় তফসিলিকরণ হয়নি। পরে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ঋণ খেলাপি ছিলেন। তাই তারা পরে টাকা জমা দিলেও তারা খেলাপি।

মঞ্জুর হোসেন আরও বলেন, উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আপিলকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন। তবে কাউন্সিলর পদে মোহাম্মদ আলী নামে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রার্থীর টাকা জমার রশিদে কোড নম্বর ভুল থাকায় বাতিল হওয়া মনোনয়নটি বৈধ ঘোষণা করেন।

ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ার কারণে গত ৩০ এপ্রিল জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম তা বাতিল বলে ঘোষণা করেন। পরে মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কার্যালয়ের বিভাগীয় অফিসে আপিল করেন জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার টিকিটে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। দুই বছর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। এর পর মেয়র পদও হারান। তবে গত ১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরকে দলে ফিরিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি।