Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন সড়কের বেহাল অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের চর গোমা সড়ক ও নলুয়া ইউনিয়নের নবানখালি বাজার হয়ে পুরাতন মল্লিক হাট সড়ক দুটি ২০১৮/২০১৯ অর্থবছরে বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় এলজিইডি থেকে টেন্ডার হলে বিজেপি প্রকল্পে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কার্যাদেশ পায় মেসার্স লায়লা বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালে গোমা কৃষ্ণকাঠি গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের কেজিএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে গাজির হাট চর গোমা খেয়া ঘাট পর্যন্ত সড়কে প্রায় ২ কিলোমিটার বালু ভরাট করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর তিন বছর পার হলেও ওই সড়কের নির্মাণ কাজ তো দূরের কথা কোন খোঁজ খবর রাখেনি ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দুধল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ চরাদি ইউনিয়নের হলতা হয়ে জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেজিএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর গোমা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, হাশেম গাজীর শেষ আশা মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ প্রায় ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বালুর উপর দিয়ে আসা-যাওয়া করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। প্রায় তিন বছর যাবত ওই সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

এছাড়াও নলুয়া ইউনিয়নের নবানখালি বাজার হয়ে পুরাতন মল্লিক হাট সড়কটির টেন্ডার পেলেও মেসার্স লায়লা বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ বছর পার হলেও এই সড়কটির কাজ শুরু করেনি। বাকরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জনকণ্ঠকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল চেয়ে তিন বার নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বরিশালে আবেদন করেছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল কাউয়ার চর হয়ে আন্তজেলা সড়কটি বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দী, দুধল,কবাই, নলুয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে দুমকী উপজেলা হয়ে পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। কবাই ৭ নং ওয়ার্ডের লঞ্চঘাট সংলগ্ন আন্তজেলা সড়কটির কবাই পান্ডব নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অংশে অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পিচ ঢালাইয়ের সড়কটির বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা না হলে এই আন্তজেলা সড়কটিতে যানবাহনে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থানীয়রা জানান, ভাঙন মুখের সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, আন্তজেলা সড়কটি, সড়ক ও জনপথ এর আওয়াতায়। সড়ক ও জনপথ থেকে আমাদের লিখিত ও মৌখিক কোন অভিযোগ দেয়নি। সড়ক ও জনপথ থেকে যেকোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। তবে রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্ব তাদের।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, পাণ্ডব নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে সড়কটি সংস্কার করলেও কোন সুফল হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করতে হলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এবং জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক নির্মাণ করতে দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।

এছাড়াও বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেবগঞ্জ বাড়ি বাজার সড়কটি কয়েক যুগেও সংস্থার না করায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। উপজেলা শহরের বড় মাছের আড়ৎগুলো এই সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে। বাড়ি বাজারের মাছের বর্জ্য এই সড়কে বছরের পর বছর ধরে জমে থেকে ময়লা আবর্জনা আর বর্জ্যের স্তূপ জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে পড়েছে।

এছাড়াও পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ি থেকে আঠারোগাছিয়া ইট সোলিং সড়কটি এক যুগ যাবৎ সংস্কারের অভাবে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। কোন প্রকার যানবাহন চলে না এই সড়কে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ৮ নং ওয়ার্ডবাসি সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন সড়কের বেহাল অবস্থা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের চর গোমা সড়ক ও নলুয়া ইউনিয়নের নবানখালি বাজার হয়ে পুরাতন মল্লিক হাট সড়ক দুটি ২০১৮/২০১৯ অর্থবছরে বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় এলজিইডি থেকে টেন্ডার হলে বিজেপি প্রকল্পে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কার্যাদেশ পায় মেসার্স লায়লা বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালে গোমা কৃষ্ণকাঠি গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের কেজিএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে গাজির হাট চর গোমা খেয়া ঘাট পর্যন্ত সড়কে প্রায় ২ কিলোমিটার বালু ভরাট করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর তিন বছর পার হলেও ওই সড়কের নির্মাণ কাজ তো দূরের কথা কোন খোঁজ খবর রাখেনি ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দুধল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ চরাদি ইউনিয়নের হলতা হয়ে জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেজিএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর গোমা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, হাশেম গাজীর শেষ আশা মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ প্রায় ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বালুর উপর দিয়ে আসা-যাওয়া করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। প্রায় তিন বছর যাবত ওই সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

এছাড়াও নলুয়া ইউনিয়নের নবানখালি বাজার হয়ে পুরাতন মল্লিক হাট সড়কটির টেন্ডার পেলেও মেসার্স লায়লা বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ বছর পার হলেও এই সড়কটির কাজ শুরু করেনি। বাকরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জনকণ্ঠকে জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল চেয়ে তিন বার নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বরিশালে আবেদন করেছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল কাউয়ার চর হয়ে আন্তজেলা সড়কটি বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দী, দুধল,কবাই, নলুয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে দুমকী উপজেলা হয়ে পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে সংযোগ হয়েছে। কবাই ৭ নং ওয়ার্ডের লঞ্চঘাট সংলগ্ন আন্তজেলা সড়কটির কবাই পান্ডব নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অংশে অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পিচ ঢালাইয়ের সড়কটির বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা না হলে এই আন্তজেলা সড়কটিতে যানবাহনে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থানীয়রা জানান, ভাঙন মুখের সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, আন্তজেলা সড়কটি, সড়ক ও জনপথ এর আওয়াতায়। সড়ক ও জনপথ থেকে আমাদের লিখিত ও মৌখিক কোন অভিযোগ দেয়নি। সড়ক ও জনপথ থেকে যেকোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। তবে রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্ব তাদের।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, পাণ্ডব নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না হলে সড়কটি সংস্কার করলেও কোন সুফল হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করতে হলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এবং জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক নির্মাণ করতে দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।

এছাড়াও বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেবগঞ্জ বাড়ি বাজার সড়কটি কয়েক যুগেও সংস্থার না করায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। উপজেলা শহরের বড় মাছের আড়ৎগুলো এই সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে। বাড়ি বাজারের মাছের বর্জ্য এই সড়কে বছরের পর বছর ধরে জমে থেকে ময়লা আবর্জনা আর বর্জ্যের স্তূপ জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে পড়েছে।

এছাড়াও পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ি থেকে আঠারোগাছিয়া ইট সোলিং সড়কটি এক যুগ যাবৎ সংস্কারের অভাবে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। কোন প্রকার যানবাহন চলে না এই সড়কে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ৮ নং ওয়ার্ডবাসি সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।