নিজস্ব প্রতিবেদক :
তিন দফা সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি নোয়াখালীর চৌমুহনী-সোনাপুর সড়কের চারলেন উন্নীতকরণে কাজ। এর মধ্যে গাবুয়া থেকে সোনাপুর কাজ শেষ হলেও দেয়া হয়নি সড়ক বিভাজক। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালীর চৌমুহনী-সোনাপুর চারলেন সড়কে চৌমুহনী থেকে গাবুয়া পর্যন্ত চার কিলোমিটারে সড়ক বিভাজক দেয়া হলেও গাবুয়া থেকে সোনাপুর পর্যন্ত তা এখনো দেয়া হয়নি। এতে নতুন পিচ ঢালাই সড়কে প্রতিদিন বেপরোয়া গতির যানবাহনে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক মাসে ৪০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত দুজন হয়েছেন। এতে আহত হন শতাধিক ব্যক্তি।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজের দেখা যায়, নোয়াখালীর সোনাপুর-মাইজদী সড়কে গত ৮ এপ্রিল মাইজদী বাজারে উল্টো পাশে গিয়ে দ্রুতগতির পিকআপচাপায় একজনের মৃত্যু ও আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের ফুটপাতের জায়গায় দখল করে বসেছে দোকান। হকারদের ভ্যানগাড়ি ও খুপরি দোকানে পথচারীদের হাটার জায়গা নেই। ড্রেনের ওপর মানুষের চলাচলের জন্য দেয়া স্লাবগুলো হকারদের দখলে।
কয়েকজন জানান, হকারদের উচ্ছেদ করা হলেও পুনরায় বসে যায়। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি থেকে যায়।
বেপরোয়া গতিতে কারণে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে দ্রুত বিভাজক তৈরি করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেয়া হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সড়কে দ্রুত বিভাজক তৈরি করতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ফুটপাতে দখলদারদের উচ্ছেদ করা জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালানো হবে।
৯৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর চৌমুহনী-সোনাপুর সড়কে ১৩ কিলোমিটার চারলেনের উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ২০২১ এর জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। তিন দফা সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি।