আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য একটি ব্যাংক ঋণে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনভিত্তিক বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশরে (বিবিসি) চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প। এমন অভিযোগ ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগ করেন। তবে, এ বিষয়ে মুখ খোলেননি বরিস জনসন।
বিবিসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ প্রতিবেদন ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর ভাষ্য, রিচার্ড শার্প শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এতে তিনি কার্যত নিজের ওপর আসা অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তবে তার দাবি, অনিয়মের বিষয়টি অসচেতনতাবশত হয়ে গেছে। এটি ছিল একটি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’। তার পদত্যাগের অর্থ বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবিসির এ পদে থাকা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। তাই পদত্যাগই যথাযথ সিদ্ধান্ত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বরিস জনসনের জন্য ব্যাংক ঋণের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলাকালীন বিবিসি চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্পের অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। কমিশনার ফর পাবলিক অ্যাপয়েন্টমেন্টের এ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডাম হেপিনস্টল কেসি।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে বরিস জনসনকে ৮ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা) ব্যাংক ঋণ পেতে সহযোগিতা করেছিলেন শার্প। এটা তিনি করেছিলেন বিবিসির চেয়ারম্যান পদে বরিসের সুপারিশ লাভের মাত্র এক সপ্তাহ আগে।
সাবেক ব্যাংকার শার্প ২০২১ সালে বিবিসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এর কয়েক সপ্তাহ আগে জনসন তার নিজের জন্য ১০ লাখ ডলার ঋণ নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। ওই সময় এই ঋণের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন শাপ। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর শার্পকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিবিসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগে মনোনয়ন আসে ব্রিটিশ সরকার থেকে। কিন্তু তার আগে সংশ্লিষ্ট একটি বোর্ডে মনোনয়নকৃত ব্যক্তির ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য জমা দিতে হয়। সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান হওয়ার সময়কালে রিচার্ড ঋণের বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখেন। যেটিকেই মূলত তার দোষ বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণে বিরোধীরাও যত দ্রুত সম্ভব রিচার্ডের পদত্যাগ চাইছিলেন। সূত্র : বিবিসি।