নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদের ৩ দিন ২০ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল। ২০ এপ্রিল থেকে এ সময়সীমা কার্যকর হবে। স্বাভাবিক সময়ে ১০ মিনিট পরপর চলাচল করে মেট্রোরেল।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের মেট্রোরেলের সভাকক্ষে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মেট্রোরেল চলাচলের বিশেষ এ সময়সূচি ঘোষণা করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক বলেন, ২০ এপ্রিল থেকে ঈদের পরের দিন পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০ মিনিটের স্থলে ২০ মিনিট পর পর মেট্রোরেল চলাচল করবে। আর শুধুমাত্র ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার পরিবর্তে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ২০ মিনিট পরপর মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে।
মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (মঙ্গলবার) ছাড়া প্রতিদিনই চলবে মেট্রোরেল চলাচল করবে।
তিনি বলেন, আগারগাঁও-মতিঝিল পথে মেট্রোরেলের পারফরম্যান্স টেস্ট শুরু হবে আগামী জুলাই মাসে। অর্থাৎ এই রুটে তখন মেট্রোরেল চলতে দেখা যাবে। লক্ষ্য অনুযায়ী এ রুটের সংশ্লিষ্ট কাজ চলমান থাকবে।
এমএএন ছিদ্দিক বলেন, প্রথমে পারফরম্যান্স টেস্ট হবে। এরপর সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট ও ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মেট্রোরেল পরিপূর্ণভাবে চালানো হবে। আর আমাদের হাতে যে ছয় মাস সময় আছে, আমরা এই সময়ের মধ্যেই শেষ করব। সবকিছু আমাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই আছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও এই ৯টি স্টেশনই খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। উদ্বোধনের পরদিন থেকে যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু রয়েছে।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ এ বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা আছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত অংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। সরকার ব্যয় করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।