Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফরিদপুরের সালথায় নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে এইচবিবিকরণ প্রকল্পের আওতায় ইটের রাস্তা নির্মাণ। যা নির্মাণকালেই ভেঙে টুকরো টুকরো হওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চাওলিয়া গ্রামে ঐ রাস্তা নির্মাণকাজে সরেজমিনে গিয়ে যার সত্যতা পাওয়া যায়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইটভাটা থেকে অল্প টাকার বিনিময়ে এসব ইট ব্যবহার করছেন বলেও জানান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাওলিয়া গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় রাস্তাটির নির্মাণ কাজ চলছে। যেখানে বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ কারণেই দুটি ধাপে কাজটি করছেন ঠিকাদার। দ্বিতীয় ধাপে তড়িঘড়ি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নিম্নমানের ইট। ঐ ইট রাস্তায় বসিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকেরা। নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়েই বেশিরভাগ ইট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কোথাও আবার গুড়ো হয়ে মাটিতে মিশে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে। ফাঁকা ফাঁকা করেও বসানো হয়েছে ইট।

জানা যায়, ২০১৯ সালে এই রাস্তা নির্মাণ কাজের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপর ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজটি শুরু করেন বোয়ালমারী উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ। তবে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুটি ধাপে কাজ করেছেন, বর্তমানে যা প্রায় শেষের দিকে।

স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তার কাজে পঁচা ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের মাঠের ফসল আনা হবে। কিন্তু কি লাভ হলো? কাজ শেষে হওয়ার আগেই যদি রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়, আর কিছুদিন গেলেতো একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে। যারা কাজ করতেছে, তাদের বললেও তারা ঠিক করে না। পঁচা ইট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

এই কাজের বিষয়ে কথা হয় কর্মরত মিজানুর রহমান নামে এক শ্রমিকের সাথে। তিনি জানান, কাজটি করছেন বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, আমার বাবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিন্তু কাজবাজ আমিই করে থাকি। এই রাস্তা নির্মাণে আমরা লসে আছি। যখন কাজটি টেন্ডার হয় তখন ইটের দাম কম ছিল, বর্তমানে ইটের দাম বেড়েছে। এ জন্য ভাটা থেকে কিছু নিম্নমানের ইট কিনে পুষিয়ে নিচ্ছি। তবে, এ বিষয়ে নিউজ লেখার দরকার নেই।

এ বিষয়ে জানতে সালথা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, নিম্নমানের ইট ব্যবহার হচ্ছে জেনে আমি কাজ বন্ধ করতে বলেছি। আমি কাজ শতভাগ বুঝে নিবো। ইট ভালো না হলে বিল হবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ফরিদপুরে এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফরিদপুরের সালথায় নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে এইচবিবিকরণ প্রকল্পের আওতায় ইটের রাস্তা নির্মাণ। যা নির্মাণকালেই ভেঙে টুকরো টুকরো হওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চাওলিয়া গ্রামে ঐ রাস্তা নির্মাণকাজে সরেজমিনে গিয়ে যার সত্যতা পাওয়া যায়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইটভাটা থেকে অল্প টাকার বিনিময়ে এসব ইট ব্যবহার করছেন বলেও জানান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাওলিয়া গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় রাস্তাটির নির্মাণ কাজ চলছে। যেখানে বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ কারণেই দুটি ধাপে কাজটি করছেন ঠিকাদার। দ্বিতীয় ধাপে তড়িঘড়ি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নিম্নমানের ইট। ঐ ইট রাস্তায় বসিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকেরা। নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়েই বেশিরভাগ ইট ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কোথাও আবার গুড়ো হয়ে মাটিতে মিশে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে। ফাঁকা ফাঁকা করেও বসানো হয়েছে ইট।

জানা যায়, ২০১৯ সালে এই রাস্তা নির্মাণ কাজের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপর ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজটি শুরু করেন বোয়ালমারী উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ। তবে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুটি ধাপে কাজ করেছেন, বর্তমানে যা প্রায় শেষের দিকে।

স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তার কাজে পঁচা ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের মাঠের ফসল আনা হবে। কিন্তু কি লাভ হলো? কাজ শেষে হওয়ার আগেই যদি রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়, আর কিছুদিন গেলেতো একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে। যারা কাজ করতেছে, তাদের বললেও তারা ঠিক করে না। পঁচা ইট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

এই কাজের বিষয়ে কথা হয় কর্মরত মিজানুর রহমান নামে এক শ্রমিকের সাথে। তিনি জানান, কাজটি করছেন বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, আমার বাবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিন্তু কাজবাজ আমিই করে থাকি। এই রাস্তা নির্মাণে আমরা লসে আছি। যখন কাজটি টেন্ডার হয় তখন ইটের দাম কম ছিল, বর্তমানে ইটের দাম বেড়েছে। এ জন্য ভাটা থেকে কিছু নিম্নমানের ইট কিনে পুষিয়ে নিচ্ছি। তবে, এ বিষয়ে নিউজ লেখার দরকার নেই।

এ বিষয়ে জানতে সালথা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, নিম্নমানের ইট ব্যবহার হচ্ছে জেনে আমি কাজ বন্ধ করতে বলেছি। আমি কাজ শতভাগ বুঝে নিবো। ইট ভালো না হলে বিল হবে না।