Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সানেকে ঘুষি মেরে এবার শাস্তি পেলেন মানে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ২০৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাদিও মানে শান্ত-স্বভাবের ফুটবলার হিসেবেই পরিচিত। সেনেগালের এই তারকা সব সময় নিজেকে সংবাদ মাধ্যমের আড়ালেই রাখেন। নিজ দেশের মানুষের পাশে থাকেন সবসময়। মাঠের ফুটবলেও তাকে কখনো বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় নি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হারের পর মেজাজ হারিয়েছেন এই বায়ার্ন তারকা। বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় লেরয় সানেকে ঘুষি দিয়ে অবশেষে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেলেন সাদিও মানে। শুধু নিষেধাজ্ঞাই নয়, সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে মানেকে।

ঘুষি মেরে সতীর্থ, জার্মান ফুটবলার লেরয় সানের ঠোট ফাটিয়ে দিয়েছিলেন সেনেগালিজ তারকা সাদিও মানে। এ কারণে বায়ার্ন মিউনিখ কর্তৃপক্ষ ১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মানেকে। হফেনহেইমের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মানে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিলো বায়ার্ন মিউনিখ। এমন পরাজয় বায়ার্ন কল্পনাও করতে পারেনি। যে কারণে, ম্যাচের শেষ দিকে মাঠেই দুই সতীর্থের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। লেরয় সানের প্রতিক্রিয়া পছন্দ হয়নি সাদিও মানের।

হারের পর ড্রেসিং রুমে ফিরেও দু’জন একে অপরের সঙ্গে লেগে যান। কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি। এ সময়ই মানের ঘুষিতে ঠোট কেটে যায় সানের। সতীর্থদের হস্তক্ষেপে দু’জন আলাদা হন। জানা গেছে, ইংল্যান্ড থেকে জার্মানি ফিরে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাসায় যান মানে। সানে যান টিম বাসে করে।

এরপর ঘটনার তদন্ত করে বায়ার্ন মিউনিখ এবং মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে নিয়ে বিবৃতি দেয় যে, সেনেগালিজ এই তারকার বিপক্ষে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাদিও মানে আগামী ম্যাচে ঘরের মাঠে হফেনহেইমের বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকছেন না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানসিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর মানে যে অসধাচরণ করেছেন, সে কারণে তাকে দলে রাখা হচ্ছে না। সঙ্গে মানেকে আর্থিক জরিমানাও করা হলো।

জার্মান পত্রিকা বিল্ড রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, সাদিও মানে অভিযোগ করেছেন লেরয় সানে সম্পর্কে। ম্যানসিটির কাছে হারের পর সানে যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে নিজেকে কন্ট্রোল করা কঠিন ছিল বলে দাবি করেন মানে।

স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, শাস্তি ঘোষণার আগে বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান ও ক্রীড়া পরিচালক হাসান সালিহামিজিচ সানে এবং মানেকে ডাকেন। পুরো দলের সামনে তাদের ক্ষমা চাইতে বলা হয়।

তবে একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মানের শাস্তি এখানেই শেষ হচ্ছে না। বায়ার্ন নাকি মানের বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে যাচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, এই ঘটনার জেরে মানেকে আগামী মৌসুমে নাকি ক্লাবও ছাড়তে হতে পারে। সব মিলিয়ে মানের সময়টা যে ভালো যাচ্ছে না, তা বলাই যায়।

২০১৭ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি ছিল ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। আগামী বুধবার মিউনিখে ফিরতি লেগে শেষ চারে উঠার লক্ষ্যে পরস্পরের মোকাবেলা করবে বায়ার্ন ও সিটি।

২০২২ সালের গ্রীষ্মে লিভারপুল ছেড়ে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পর থেকে হতাশার ভুগছেন মানে। দুই বারের আফ্রিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব পাওয়া এই তারকা বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতায় প্রথম সাত ম্যাচে ছয় গোল করেছেন। তবে গত বছর অক্টোবর থেকে কোন গোলের দেখা পাননি এই ফরোয়ার্ড।

গত নভেম্বরে পায়ের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যে কারণে দেশের হয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি মানে। এছাড়া বায়ার্নের হয়ে খেলতে পারেননি নয়টি ম্যাচ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

সানেকে ঘুষি মেরে এবার শাস্তি পেলেন মানে

প্রকাশের সময় : ০২:১৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাদিও মানে শান্ত-স্বভাবের ফুটবলার হিসেবেই পরিচিত। সেনেগালের এই তারকা সব সময় নিজেকে সংবাদ মাধ্যমের আড়ালেই রাখেন। নিজ দেশের মানুষের পাশে থাকেন সবসময়। মাঠের ফুটবলেও তাকে কখনো বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় নি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হারের পর মেজাজ হারিয়েছেন এই বায়ার্ন তারকা। বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় লেরয় সানেকে ঘুষি দিয়ে অবশেষে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেলেন সাদিও মানে। শুধু নিষেধাজ্ঞাই নয়, সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে মানেকে।

ঘুষি মেরে সতীর্থ, জার্মান ফুটবলার লেরয় সানের ঠোট ফাটিয়ে দিয়েছিলেন সেনেগালিজ তারকা সাদিও মানে। এ কারণে বায়ার্ন মিউনিখ কর্তৃপক্ষ ১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মানেকে। হফেনহেইমের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মানে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিলো বায়ার্ন মিউনিখ। এমন পরাজয় বায়ার্ন কল্পনাও করতে পারেনি। যে কারণে, ম্যাচের শেষ দিকে মাঠেই দুই সতীর্থের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। লেরয় সানের প্রতিক্রিয়া পছন্দ হয়নি সাদিও মানের।

হারের পর ড্রেসিং রুমে ফিরেও দু’জন একে অপরের সঙ্গে লেগে যান। কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি। এ সময়ই মানের ঘুষিতে ঠোট কেটে যায় সানের। সতীর্থদের হস্তক্ষেপে দু’জন আলাদা হন। জানা গেছে, ইংল্যান্ড থেকে জার্মানি ফিরে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাসায় যান মানে। সানে যান টিম বাসে করে।

এরপর ঘটনার তদন্ত করে বায়ার্ন মিউনিখ এবং মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে নিয়ে বিবৃতি দেয় যে, সেনেগালিজ এই তারকার বিপক্ষে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাদিও মানে আগামী ম্যাচে ঘরের মাঠে হফেনহেইমের বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকছেন না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানসিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর মানে যে অসধাচরণ করেছেন, সে কারণে তাকে দলে রাখা হচ্ছে না। সঙ্গে মানেকে আর্থিক জরিমানাও করা হলো।

জার্মান পত্রিকা বিল্ড রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, সাদিও মানে অভিযোগ করেছেন লেরয় সানে সম্পর্কে। ম্যানসিটির কাছে হারের পর সানে যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে নিজেকে কন্ট্রোল করা কঠিন ছিল বলে দাবি করেন মানে।

স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, শাস্তি ঘোষণার আগে বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান ও ক্রীড়া পরিচালক হাসান সালিহামিজিচ সানে এবং মানেকে ডাকেন। পুরো দলের সামনে তাদের ক্ষমা চাইতে বলা হয়।

তবে একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মানের শাস্তি এখানেই শেষ হচ্ছে না। বায়ার্ন নাকি মানের বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে যাচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, এই ঘটনার জেরে মানেকে আগামী মৌসুমে নাকি ক্লাবও ছাড়তে হতে পারে। সব মিলিয়ে মানের সময়টা যে ভালো যাচ্ছে না, তা বলাই যায়।

২০১৭ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি ছিল ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। আগামী বুধবার মিউনিখে ফিরতি লেগে শেষ চারে উঠার লক্ষ্যে পরস্পরের মোকাবেলা করবে বায়ার্ন ও সিটি।

২০২২ সালের গ্রীষ্মে লিভারপুল ছেড়ে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পর থেকে হতাশার ভুগছেন মানে। দুই বারের আফ্রিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব পাওয়া এই তারকা বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতায় প্রথম সাত ম্যাচে ছয় গোল করেছেন। তবে গত বছর অক্টোবর থেকে কোন গোলের দেখা পাননি এই ফরোয়ার্ড।

গত নভেম্বরে পায়ের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যে কারণে দেশের হয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি মানে। এছাড়া বায়ার্নের হয়ে খেলতে পারেননি নয়টি ম্যাচ।