Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২ আত্মঘাতি গোলে জয়বঞ্চিত ম্যানইউ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইউরোপা লিগে এর চেয়ে অদ্ভুতুড়ে ম্যাচ আর কী হতে পারে? প্রথমার্ধে ৭ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধে সেই দলটাই শেষ ৬ মিনিটে হজম করে দুটি আত্মঘাতী গোল! চোট পেয়ে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের ছিটকে যাওয়াও এই সময়েই! তাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এরিক টেন হাগের দল।

বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ধারে ম্যানইউতে যোগ দেওয়া মার্সেল সাবিতজার শুরুতে নায়ক বনে গিয়েছিলেন। ১৪ মিনিটের মাথায় তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ইউরোপিয়ান গোল করে এগিয়ে নেন ম্যানইউকে। এরপর ২১ মিনিটের মাথায় নিজের জোড়া গোলও পূর্ণ করেন। তাতে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ম্যানইউ।

পুরোটা সময় কর্তৃত্ব করা ম্যানইউ তার পর গোল হজম করে শেষ দিকে এসে। ৮৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে প্রথমটিতে অবদান ছিল ম্যানইউর টাইরেল ম্যালাসিয়ার। ৯০+২ মিনিটে ইনজুরি সময়ে সেভিয়াকে আরেকটি গোল উপহার দেন হ্যারি ম্যাগুয়ের।

এখন নিজেদের ভুলে সেমিফাইনালের সম্ভাবনাও কঠিন করে ফেলেছে রেড ডেভিলরা। তবে সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে মার্তিনেজের চোট। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাতে দলও পরিণত হয়েছে ১০ জনে। শঙ্কার আরও খবর আছে। ফার্নান্দেস হলুদ কার্ড দেখায় দ্বিতীয় লেগে তাকে নিষিদ্ধ থাকতে হবে।

শক্তি-সামর্থ্যে সেভিয়ার চেয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে থাকা দল। কিন্তু ইউরোপা লিগ মানেই তো সেভিয়া। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফলতম দল বলে কথা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ বার ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতেছে আন্দালুসিয়ান ক্লাবটি। তাই ইউনাইটেড-সেভিয়া ম্যাচে নিরঙ্কুশ ফেবারিট বলা যাচ্ছিল না কাউকেই।

এদিন প্রথমার্ধের খেলায় দুই দলের পার্থক্য বোঝা যাবে একটা পরিসংখ্যানে। শুরুর ৪৫ মিনিটে দুই দলই ৭টি করে শট নেয়। ইউনাইটেডের ৫টি শটই যেখানে লক্ষ্যে ছিল, সেখানে সেভিয়ার লক্ষ্যে শট ছিল মাত্র ১টি। শটের হিসাব বাদ দিলেও প্রথমার্ধে দারুণ আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ইউনাইটেড।

ম্যাচ শেষে ম্যানইউর কোচ এরিক টেন হাগ বলেন, আমার মনে হয় ম্যাচটা নিজেদের হাতেই ছিল। তার পর ইনজুরি…। আমাদের তিনটা বা চারটা গোল করা উচিত ছিল। আসলে কিছু অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত, ইনজুরি এবং আমরা দুটি আত্মঘাতি গোল হজম করলাম। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের বিষয়। এগুলো ঘটতেই পারে। অবশ্যই আমাদের শিখতে হবে কিভাবে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিতে হয়।

এতে লজ্জার এক রেকর্ডও গড়ে রেড ডেভিলসরা। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ইংলিশ ক্লাব দুইটি আত্মঘাতী গোল হজম করে। ২০১৯ সালে প্রথমবার এটি ঘটায় চেলসি, প্রতিপক্ষ ছিল আয়াক্স।

ফিরতি লেগে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সেভিয়ার মাঠে নামতে হবে ইউনাইটেডকে।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

২ আত্মঘাতি গোলে জয়বঞ্চিত ম্যানইউ

প্রকাশের সময় : ০২:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইউরোপা লিগে এর চেয়ে অদ্ভুতুড়ে ম্যাচ আর কী হতে পারে? প্রথমার্ধে ৭ মিনিটের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধে সেই দলটাই শেষ ৬ মিনিটে হজম করে দুটি আত্মঘাতী গোল! চোট পেয়ে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের ছিটকে যাওয়াও এই সময়েই! তাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এরিক টেন হাগের দল।

বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ধারে ম্যানইউতে যোগ দেওয়া মার্সেল সাবিতজার শুরুতে নায়ক বনে গিয়েছিলেন। ১৪ মিনিটের মাথায় তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ইউরোপিয়ান গোল করে এগিয়ে নেন ম্যানইউকে। এরপর ২১ মিনিটের মাথায় নিজের জোড়া গোলও পূর্ণ করেন। তাতে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ম্যানইউ।

পুরোটা সময় কর্তৃত্ব করা ম্যানইউ তার পর গোল হজম করে শেষ দিকে এসে। ৮৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে প্রথমটিতে অবদান ছিল ম্যানইউর টাইরেল ম্যালাসিয়ার। ৯০+২ মিনিটে ইনজুরি সময়ে সেভিয়াকে আরেকটি গোল উপহার দেন হ্যারি ম্যাগুয়ের।

এখন নিজেদের ভুলে সেমিফাইনালের সম্ভাবনাও কঠিন করে ফেলেছে রেড ডেভিলরা। তবে সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে মার্তিনেজের চোট। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাতে দলও পরিণত হয়েছে ১০ জনে। শঙ্কার আরও খবর আছে। ফার্নান্দেস হলুদ কার্ড দেখায় দ্বিতীয় লেগে তাকে নিষিদ্ধ থাকতে হবে।

শক্তি-সামর্থ্যে সেভিয়ার চেয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে থাকা দল। কিন্তু ইউরোপা লিগ মানেই তো সেভিয়া। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফলতম দল বলে কথা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ বার ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতেছে আন্দালুসিয়ান ক্লাবটি। তাই ইউনাইটেড-সেভিয়া ম্যাচে নিরঙ্কুশ ফেবারিট বলা যাচ্ছিল না কাউকেই।

এদিন প্রথমার্ধের খেলায় দুই দলের পার্থক্য বোঝা যাবে একটা পরিসংখ্যানে। শুরুর ৪৫ মিনিটে দুই দলই ৭টি করে শট নেয়। ইউনাইটেডের ৫টি শটই যেখানে লক্ষ্যে ছিল, সেখানে সেভিয়ার লক্ষ্যে শট ছিল মাত্র ১টি। শটের হিসাব বাদ দিলেও প্রথমার্ধে দারুণ আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ইউনাইটেড।

ম্যাচ শেষে ম্যানইউর কোচ এরিক টেন হাগ বলেন, আমার মনে হয় ম্যাচটা নিজেদের হাতেই ছিল। তার পর ইনজুরি…। আমাদের তিনটা বা চারটা গোল করা উচিত ছিল। আসলে কিছু অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত, ইনজুরি এবং আমরা দুটি আত্মঘাতি গোল হজম করলাম। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের বিষয়। এগুলো ঘটতেই পারে। অবশ্যই আমাদের শিখতে হবে কিভাবে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিতে হয়।

এতে লজ্জার এক রেকর্ডও গড়ে রেড ডেভিলসরা। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ইংলিশ ক্লাব দুইটি আত্মঘাতী গোল হজম করে। ২০১৯ সালে প্রথমবার এটি ঘটায় চেলসি, প্রতিপক্ষ ছিল আয়াক্স।

ফিরতি লেগে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সেভিয়ার মাঠে নামতে হবে ইউনাইটেডকে।