নিজস্ব প্রতিবেদক :
হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে সহকর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ছয়দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালকরা। এতে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত ৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ স্ট্যান্ডে যাত্রী উঠানামা নিয়ে বিরোধের জেরে এক বাস শ্রমিককে মারধর করেন অটোরিকশা শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে বাস চালকরা ধর্মঘটে নামেন। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় বিরোধটি মিমাংসা হয়। এরপর সড়কে অটোরিকশা চলাচল করলেও বাস চালকরা তাদের ধর্মঘট অব্যাহত রাখেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় বলেন, মারধরের ঘটনা মিমাংসার পরও অটোরিকশা শ্রমিকরা বাস চালকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডে অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা দেব বলেন, বাস শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের যে বিরোধ ছিল পুলিশ তা মিমাংসা করে দিয়েছে। বাস চালকরা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে চলাচল বন্ধ রেখে আমাদের ওপর দোষ চাপাতে চাইছেন।
জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী জানান, উমেদনগর প্রান্তে জানমালের নিরাপত্তা না থাকায় শ্রমিকরা গাড়ি চালাচ্ছে না। তিনি বলেন, গত ৭ এপ্রিল ৮/১০ জন সিএনজি মালিক শ্রমিক এক বাস চালককে মারধর করে। শুনেছি পরবর্তীতে নবীগঞ্জ থানা ওসি সাহেব বিষয়টি মিমাংসা করেছেন। তবে কিভাবে মিমাংসা করেছেন তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, অবৈধ গাড়ির কারণে বৈধ গাড়ি প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছে। বাস চলাচল বন্ধের জন্য এটাও একটি কারণ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদের জানান, সিএসজি ও বাস শ্রমিকদের বিরোধের বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিকভাবে উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে নবীগঞ্জ থানায় বৈঠক করেছি। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষে কথা শুনে তাদের মধ্যকার বিরোধ মিমাংসা করে দিয়েছি। এর পর থেকে সিএনজি চলাচল করলেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নবীগঞ্জের বাস শ্রমিকদের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। দু’একদিনের মাঝেই বাস চলাচল শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে প্রতিদিন ২৭টি বাস চলাচল করে। এগুলো দিয়ে কয়েক হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু ছয়দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় চলমান রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।