Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য একে আজাদ চৌধুরী। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ঢাবির উপাচার্য আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাশেদ খান মেনন বলেন, জাফরউল্লাহ ভাই আমার ছাত্রজীবনের সহযোদ্ধা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় মানুষের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে তিনি পাশে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার অর্থেই জনযোদ্ধাই ছিলেন তিনি । তিনি লড়াই শুধু মুক্তিযুদ্ধে শেষ করেননি। এরপরও তিনি মুক্তিযুদ্ধের লড়াই চালিয়ে গেছেন। শুধু দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই ছিল অবিচল।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্পষ্টভাষী, সদালাপী ও সাদামাটা জীবনের অধিকারী ছিলেন। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ করে অসহায় ও গণমানুষের চিকিৎসা সেবায় তিনি যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়।

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ সেখানে রাখা হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া বলেন, শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। পরে জুমার নামাজের পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। ৮১ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ঔষধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি।

সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জীবনের নানা পর্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা সম্মান পেয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার। ফিলিপাইনের র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান ১৯৮৫ সালে। ১৯৯২ সালে সুইডেন থেকে তাকে দেওয়া হয় রাইট লাইভলিহুড অ্যাওয়ার্ড। কানাডার ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব ন্যাচারাল মেডিসিন ২০০৯ সালে দেয় ডক্টর অব হিউম্যানিটেরিয়ান উপাধি। যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি থেকে ২০১০ সালে দেওয়া হয় ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক হেলথ হিরোজ অ্যাওয়ার্ড। যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ ২০২২ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ‘এনআরবি লিবারেশন ওয়ার হিরো ১৯৭১’ পুরস্কার দেয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ। ইতিমধ্যেই শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য একে আজাদ চৌধুরী। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ঢাবির উপাচার্য আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাশেদ খান মেনন বলেন, জাফরউল্লাহ ভাই আমার ছাত্রজীবনের সহযোদ্ধা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় মানুষের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে তিনি পাশে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার অর্থেই জনযোদ্ধাই ছিলেন তিনি । তিনি লড়াই শুধু মুক্তিযুদ্ধে শেষ করেননি। এরপরও তিনি মুক্তিযুদ্ধের লড়াই চালিয়ে গেছেন। শুধু দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই ছিল অবিচল।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্পষ্টভাষী, সদালাপী ও সাদামাটা জীবনের অধিকারী ছিলেন। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ করে অসহায় ও গণমানুষের চিকিৎসা সেবায় তিনি যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়।

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ সেখানে রাখা হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া বলেন, শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। পরে জুমার নামাজের পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। ৮১ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ। অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। জাতীয় ঔষধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি।

সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জীবনের নানা পর্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বা সম্মান পেয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার। ফিলিপাইনের র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান ১৯৮৫ সালে। ১৯৯২ সালে সুইডেন থেকে তাকে দেওয়া হয় রাইট লাইভলিহুড অ্যাওয়ার্ড। কানাডার ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব ন্যাচারাল মেডিসিন ২০০৯ সালে দেয় ডক্টর অব হিউম্যানিটেরিয়ান উপাধি। যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি থেকে ২০১০ সালে দেওয়া হয় ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক হেলথ হিরোজ অ্যাওয়ার্ড। যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ ২০২২ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ‘এনআরবি লিবারেশন ওয়ার হিরো ১৯৭১’ পুরস্কার দেয়।