Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে সড়ক সংস্কারের ও পুনর্নির্মাণ কাজে মান নিয়ে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চক্রতলা-ভরনপাড়া-চশই এলাকার মানুষের পায়ের পাড়া পড়লেই গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে ইট। রাস্তায় ব্যবহৃত সেই ইটের খোয়া চুলার মাটির চেয়েও নরম। সড়কটির সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজের মান নিয়ে এমন অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এতে শুধু খোয়াই গুঁড়ো হচ্ছে না, এর সঙ্গে ভেঙে চুরমার হচ্ছে এলাকার মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন।

মারুকা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার এ সড়কটিতে আয়েতালির মতো অনেকেই অভিযোগ করেন। তারা জানান, রাস্তা তৈরির নামে এখানে চলছে পুকুর চুরি। নিম্নমানের, নম্বরবিহীন ও রাস্তার পুরনো এসব ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চোখের সামনে ভেস্তে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। উপজেলা প্রকৌশলীরা দেখতে আসলেও ঠিকাদারের সাথে ফিস ফিস কথা বলে দ্রুত চলে যান। সড়কটি নিম্নমানের ইট ব্যবহার নিয়ে বাধা দিলেও শুনছেন না ঠিকাদারের লোকজন। এখন তারা ঈদের আগে বিল তোলার জন্য নিম্নমানের কাজ।

জাহাঙ্গীর নামের এক পথচারী জানান, রাস্তার কাজ চলছে ঢিলেঢালাভাবে। তারপর আবার দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খোয়া, যা চুলার মাটির চেয়েও নরম। পা দিয়ে চাপ দিলেই ভেঙে যায়। আমাদের এলাকার চুলার মাটিও এই খোয়ার চেয়ে ভালো।

অটোরিকশাচালক সুমন বলেন, আমাদের দুর্দশা দূর করতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারের চুরির কারণে আমরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবো। নম্বরবিহীন ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে। এ রাস্তা বেশি দিন টিকবে কিভাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মারুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম শাজাহান বলেন, নিন্মমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে একাধিকবার বললেও শোনেননি। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস এন্টারপ্রাইজের মালিক আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে এ বিষয়ে পরে কথা বলবে বলে জানান।

দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার আফসার উদ্দিন বলেন, চক্রতলা-চশই সড়কটি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ চলছে। নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে লোক পাঠিয়েছি, সত্যতা পেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

দাউদকান্দিতে সড়ক সংস্কারের ও পুনর্নির্মাণ কাজে মান নিয়ে অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চক্রতলা-ভরনপাড়া-চশই এলাকার মানুষের পায়ের পাড়া পড়লেই গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে ইট। রাস্তায় ব্যবহৃত সেই ইটের খোয়া চুলার মাটির চেয়েও নরম। সড়কটির সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজের মান নিয়ে এমন অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এতে শুধু খোয়াই গুঁড়ো হচ্ছে না, এর সঙ্গে ভেঙে চুরমার হচ্ছে এলাকার মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন।

মারুকা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার এ সড়কটিতে আয়েতালির মতো অনেকেই অভিযোগ করেন। তারা জানান, রাস্তা তৈরির নামে এখানে চলছে পুকুর চুরি। নিম্নমানের, নম্বরবিহীন ও রাস্তার পুরনো এসব ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চোখের সামনে ভেস্তে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই। উপজেলা প্রকৌশলীরা দেখতে আসলেও ঠিকাদারের সাথে ফিস ফিস কথা বলে দ্রুত চলে যান। সড়কটি নিম্নমানের ইট ব্যবহার নিয়ে বাধা দিলেও শুনছেন না ঠিকাদারের লোকজন। এখন তারা ঈদের আগে বিল তোলার জন্য নিম্নমানের কাজ।

জাহাঙ্গীর নামের এক পথচারী জানান, রাস্তার কাজ চলছে ঢিলেঢালাভাবে। তারপর আবার দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খোয়া, যা চুলার মাটির চেয়েও নরম। পা দিয়ে চাপ দিলেই ভেঙে যায়। আমাদের এলাকার চুলার মাটিও এই খোয়ার চেয়ে ভালো।

অটোরিকশাচালক সুমন বলেন, আমাদের দুর্দশা দূর করতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারের চুরির কারণে আমরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবো। নম্বরবিহীন ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে। এ রাস্তা বেশি দিন টিকবে কিভাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মারুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম শাজাহান বলেন, নিন্মমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে একাধিকবার বললেও শোনেননি। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস এন্টারপ্রাইজের মালিক আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে এ বিষয়ে পরে কথা বলবে বলে জানান।

দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার আফসার উদ্দিন বলেন, চক্রতলা-চশই সড়কটি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ চলছে। নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে লোক পাঠিয়েছি, সত্যতা পেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।