Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসা কমান্ডার নিহত

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের সঙ্গে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুল মজিদ লালাইয়া নামের একাধিক হত্যা মামলার আসামি এক আরসা কমান্ডার (৩৪) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এ তথ্য জানান ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া কর্মকর্তা) মো. ফারুক আহমেদ। এর আগে সকালে উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল মজিদ (লালাইয়া) উখিয়ার ক্যাম্প-১৩, ব্লক-ই/৩ এর তাজনিমার খোলা এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আব্দুল মজিদ লালাইয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও আরসা কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তিনি জানান, সকালে ক্যাম্প-১৯ এর ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাসার পাশে আরসা সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে আশপাশের কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে এপিবিএন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে আরসা সদস্যরা। এ সময় এপিবিএনও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির পর কয়েকটি ঘরে তল্লাশি করে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহের বাম হাতের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এ সময় মোহাম্মদ তাহের, জামাল হোসেন ও লিয়াকত আলী নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে

ফারুক আহমেদ জানান, নিহত লালাইয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত চারটি হত্যা মামলার আসামি। গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তারা হলেন উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এর ব্লক-এ/৮ এর বাসিন্দা কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), একই ক্যাম্পের ব্লক- এ/১৭ এর বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও ব্লক-এ/৮ এর বাসিন্দা সলিমুল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।

নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসা কমান্ডার নিহত

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের সঙ্গে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুল মজিদ লালাইয়া নামের একাধিক হত্যা মামলার আসামি এক আরসা কমান্ডার (৩৪) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এ তথ্য জানান ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া কর্মকর্তা) মো. ফারুক আহমেদ। এর আগে সকালে উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল মজিদ (লালাইয়া) উখিয়ার ক্যাম্প-১৩, ব্লক-ই/৩ এর তাজনিমার খোলা এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আব্দুল মজিদ লালাইয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও আরসা কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তিনি জানান, সকালে ক্যাম্প-১৯ এর ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাসার পাশে আরসা সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে আশপাশের কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে এপিবিএন। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে আরসা সদস্যরা। এ সময় এপিবিএনও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির পর কয়েকটি ঘরে তল্লাশি করে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহের বাম হাতের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এ সময় মোহাম্মদ তাহের, জামাল হোসেন ও লিয়াকত আলী নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে

ফারুক আহমেদ জানান, নিহত লালাইয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত চারটি হত্যা মামলার আসামি। গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তারা হলেন উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এর ব্লক-এ/৮ এর বাসিন্দা কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), একই ক্যাম্পের ব্লক- এ/১৭ এর বাসিন্দা মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও ব্লক-এ/৮ এর বাসিন্দা সলিমুল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।

নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে।