নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি নির্বাচনে যাবে না মির্জা ফখরুল এমন কথা বললেও দলটিতে উকিল সাত্তারের অভাব নেই, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আগ্রহ না দেখালেও তলে তলে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী নির্বাচনের বিষয়ে যোগাযোগ করছে। যেটা সময় হলেই টের পাওয়া যাবে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে হেরে যাবে বলে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য জেনেই নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের খেলায় নেমেছে বিএনপি। তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বরং বিতর্কের সৃষ্টি করতে চায়।
বিএনপি ঘোমটা পরে নির্বাচনে অংশ নেয় জানিয়ে তিনি বলেন, তারা হারবে বলে সরাসরি নির্বাচনে আসে না। ঘোমটা পরে নির্বাচনে আসে। ধানের শীষ না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদের। এ অবস্থায় বিএনপিকে বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জনগণের ওপর আস্থা রাখতে আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের সজাগ ও সচেতন থাকারও নির্দেশ দেন তিনি।
বাংলাদেশে বিএনপি রাজনৈতিক দুর্ঘটনার পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। বিএনপির আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের কাছে কোনো সাড়া জাগাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন যথাসময়ে হলে মির্জা ফখরুলের মাথাব্যথা কেনো প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কী অসুবিধা বিএনপির, তারা নির্বাচন করবে না। অনেক নির্বাচন হয়েছে, তারা প্রকাশ্যে আসে না কিন্তু ঘোমটা পরা প্রার্থী থাকে বিএনপির। নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। কেউ আসুক আর না আসুক নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
রাজনীতিতে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের নতুন খেলা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বুঝে গেছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই।
তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই নানা দাবি নিয়ে রাজপথে সরব বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা ছাড়া বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানালেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে তত্ত্বাবধায় সরকারব্যবস্থা আর দেশে ফিরবে না। সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমাদের দেশের রাজনীতিতে নতুন খেলা শুরু হয়েছে। এই খেলা চক্রান্তের খেলা, এই খেলা ষড়যন্ত্রের খেলা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার জয় অনিবার্য। আমাদের নেত্রী অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাকে হারানো যাবে না। এটা বুঝে গেছে বিএনপি। ফখরুল, সেই পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজ বুঝে গেছে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই। এটা বুঝতে পেরে আজকে ফখরুলের মনের জোর কমে গেছে। মনের জোর কমে গেছে, গলার জোর বাড়ছে। এখন প্রতিনিয়ত অদ্ভুত অদ্ভুত কথাবার্তা বলছে। ফখরুল যেভাবে পদযাত্রা করে পদ হারিয়ে চলছে, তাতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।
শান্তি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ মহানগর দক্ষিণের নেতারা ও এর অন্তর্ভুক্ত থানা, ওয়ার্ড, ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।