আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিমান সংস্থা ইন্ডিগো ফ্লাইটে চল্লিশ বছর বয়সী এক মাতাল যাত্রীর বিরুদ্ধে পরপর তিনটি অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি সরাসরি চলন্ত বিমানের ইমার্জেন্সি দরজার ফ্ল্যাপ জোর করে খোলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিমান সংস্থা জানিয়েছে, এ ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। ইন্ডিয়া টুডে।
জানা গেছে যাত্রীর নাম আর প্রতীক। তিনি কানপুরের নিবাসী। তিনি একটি ই কমার্স ফার্মের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত।
সম্প্রতি ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে ফ্লাইট ৬ই-৩০৮ বিমানটি উড়েছিল। এদিকে এর আগে ২০২২ সালে ১০ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু সাউথের সাংসদ তেজস্বী সূর্য টেক অফের আগেই বিমানের দরজা দুর্ঘটনাক্রমে খুলে ফেলেছিলেন। এর জেরে বিমানটির প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল।
তবে এবারের ঘটনা আরও গুরুতর। জানা গেছে, বিমানযাত্রী আর প্রতীক ১৮-এফ সিটে বসেছিলেন। তিনি কার্যত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ এসেছে। তিনি বিমানের ইমার্জেন্সি দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন এবং সবার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করছিলেন।
এ অবস্থায় বিমানটি ১০টা ৪৩ মিনিটে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর তাকে সিআইএসেফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বিমানবন্দরের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিনের মাধ্যমে তার পরীক্ষা করা হয় আর তখনই নিশ্চিত করা হয় তিনি মদ্যপ অবস্থায় বিমানে অবস্থান করছিলেন।
বিমান সংস্থা ইন্ডিগো ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী বিমানে ছিলেন ওই যাত্রী। তিনি অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ইমার্জেন্সি দরজার ফ্ল্যাপ খোলার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি জেনেই ক্রু মেম্বাররা ক্যাপ্টেনকে জানান।
উল্লেখ্য, ইমার্জেন্সি দরজার ফ্ল্যাপ খুলে দেওয়া হলে সেটা বিমানের সুরক্ষায় কোনো প্রভাব ফেলে না। কারণ বিমান চালু অবস্থায় সমস্ত দরজা প্রেশার লকড করা থাকে। ফলে ল্যান্ডিং না করা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি দরজা খোলা সম্ভব নয়।