Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ঈদ উপলক্ষে পুরোনো বাস মেরামতের হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পুরোনো বাস মেরামত করে নতুন করার হিড়িক পড়েছে বরিশালে। ওয়ার্কশপগুলোয় দিন-রাত চলছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস মেরামত ও রঙের কাজ।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবারও ঈদে বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নদীপথের চেয়ে সড়কপথে ভিড় থাকবে বেশি। সেই সুযোগটিই কাজে লাগাতে একশ্রেণির অসাধু পরিবহন মালিক লক্কড়-ঝক্কড় বাস সড়কে নামানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বরিশালে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটে সহস্রাধিক বাস চলাচল করে। যাত্রীচাপ বাড়ায় গত ছয় মাসে বরিশালে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটে নতুন করে দুই শতাধিক বাস নেমেছে। তবে প্রশ্ন আছে অনেক গাড়ির ফিটনেস নিয়ে।

নগরীর রুপাতলী, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার ওয়ার্কশপগুলোয় দেখা যায়, বাস মেরামতে চলছে জোর ব্যস্ততা। রং-তুলির আঁচড়ে মুহূর্তেই পুরাতন বাস হয়ে উঠছে নতুন। ঈদের আগেই অর্ডার শেষ করতে হবে। তাই কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসত নেই শ্রমিকদের।

আলম নামে এক শ্রমিক বলেন, ঈদের কারণে এখন চাপ বেশি। সারা দিন বাসগুলো মেরামত ও রঙের কাজ করতে হয়। ঈদের আগে সব ডেলিভারি দিতে হবে।

রফিক নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ইঞ্জিনের কাজ, রঙের কাজ সর্বশেষ সিট পাল্টানোর কাজও চলছে। আমরা দিনরাত কাজ করছি।

সড়ক দুর্ঘটনার পর বেরিয়ে আসে অনেক গাড়ির ফিটনেস না থাকার খবর। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির কেউই। আর কাউন্টার ম্যানেজারদের দাবি, ফিটনেস ছাড়া গাড়ি নামে না। যাত্রীসেবায় ঈদের আগে এখন চলছে হালকা মেরামত।

উৎসবের সুযোগে ফিটনেসবিহীন বাস নামানোর পাঁয়তারা করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পুলিশ ও বিআরটিএ-র।

বরিশাল বিআরটিএ-র পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সড়কে লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটা করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ফিটনেস ও যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ছয় মাসে কেবল মেট্রোপলিটন এলাকায় মামলা হয়েছে ২৫০টি। এ ছাড়া প্রতিদিনই আমাদের অভিযান চলছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বরিশালে ঈদ উপলক্ষে পুরোনো বাস মেরামতের হিড়িক

প্রকাশের সময় : ০২:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পুরোনো বাস মেরামত করে নতুন করার হিড়িক পড়েছে বরিশালে। ওয়ার্কশপগুলোয় দিন-রাত চলছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস মেরামত ও রঙের কাজ।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবারও ঈদে বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নদীপথের চেয়ে সড়কপথে ভিড় থাকবে বেশি। সেই সুযোগটিই কাজে লাগাতে একশ্রেণির অসাধু পরিবহন মালিক লক্কড়-ঝক্কড় বাস সড়কে নামানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বরিশালে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটে সহস্রাধিক বাস চলাচল করে। যাত্রীচাপ বাড়ায় গত ছয় মাসে বরিশালে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটে নতুন করে দুই শতাধিক বাস নেমেছে। তবে প্রশ্ন আছে অনেক গাড়ির ফিটনেস নিয়ে।

নগরীর রুপাতলী, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার ওয়ার্কশপগুলোয় দেখা যায়, বাস মেরামতে চলছে জোর ব্যস্ততা। রং-তুলির আঁচড়ে মুহূর্তেই পুরাতন বাস হয়ে উঠছে নতুন। ঈদের আগেই অর্ডার শেষ করতে হবে। তাই কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসত নেই শ্রমিকদের।

আলম নামে এক শ্রমিক বলেন, ঈদের কারণে এখন চাপ বেশি। সারা দিন বাসগুলো মেরামত ও রঙের কাজ করতে হয়। ঈদের আগে সব ডেলিভারি দিতে হবে।

রফিক নামে আরেক শ্রমিক বলেন, ইঞ্জিনের কাজ, রঙের কাজ সর্বশেষ সিট পাল্টানোর কাজও চলছে। আমরা দিনরাত কাজ করছি।

সড়ক দুর্ঘটনার পর বেরিয়ে আসে অনেক গাড়ির ফিটনেস না থাকার খবর। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির কেউই। আর কাউন্টার ম্যানেজারদের দাবি, ফিটনেস ছাড়া গাড়ি নামে না। যাত্রীসেবায় ঈদের আগে এখন চলছে হালকা মেরামত।

উৎসবের সুযোগে ফিটনেসবিহীন বাস নামানোর পাঁয়তারা করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পুলিশ ও বিআরটিএ-র।

বরিশাল বিআরটিএ-র পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সড়কে লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটা করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ফিটনেস ও যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ছয় মাসে কেবল মেট্রোপলিটন এলাকায় মামলা হয়েছে ২৫০টি। এ ছাড়া প্রতিদিনই আমাদের অভিযান চলছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে।