নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও সৌদি আরবের হারাম শরীফের কাছাকাছি বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় আগামী বছরগুলোতে হজের খরচ আরও বাড়বে, তাই এবারের হজ প্যাকেজকে সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রোববার (২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছরের হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায় এবং সেই বিবেচনায় একই ধারাবাহিকতায় বলা যায় যে, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ভেঙে ফেলা বাড়ি/হোটেলসমূহ আবার গড়ে তুলতে আরও ২ থেকে ৩ বছর লাগবে।
এমতাবস্থায় এ বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। একই বিষয় বিবেচনায় হজযাত্রীদের এ বছরই হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। সৌদি প্রান্তের খরচ কমায় এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে। কমানোর পর সরকারি প্যাকেজের মূল্য হয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা। বেসরকারিভাবে হজ পালনে প্যাকেজ মূল্য কমিয়ে করা হয় ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯০ টাকা।