Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ বছর বয়সে বই লিখে বিশ্বরেকর্ড গড়ল সাঈদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

৪ বছর বয়স! খেলাধুলা অথবা বর্ণমালা শিখে কাটে এ বয়স। ৪ বছর বয়সে এরচেয়ে বেশি কী আর করা যায়? তবে বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাত্র ৪ বছর বয়সেই পুরো একটি বই লিখেছে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাঈদ রশিদ আলমেহেরি নামের এক শিশু। এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী (পুরুষ) হিসেবে বই লেখার বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছে সে।

তার বইটির নাম ‘দ্য এলিফেন্ট সাঈদ অ্যান্ড দ্য বিয়ার’। বইটিতে হাতি ও ভালুক এ দু’টি প্রাণীর মধ্যে অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্ব এবং রাগের ওপর উদারতার জয়ের গল্প লেখা হয়েছে।

বইটিতে ঘৃণা ও ক্রোধের বিপরীতে দয়ার বা মানবিকতার জয়ের কথা বলা হয়েছে। সেখানে দুটি প্রাণীর অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্বের গল্প উঠে এসেছে।

শিশু সাঈদের মা মৌজা আল দারমাকি বলেছেন, যখন সে আমাদের গল্পটা বলল, আমরা অবিভূত হয়ে গেলাম। তার একটা পরিষ্কার আইডিয়া ছিল এই গল্পটা সম্পর্কে, সে কি বলতে চায় তা সে জানত। সাঈদ বইটি শুধু লেখেনি, চিত্রিতও করেছে। খালিজ টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সে বলে, আমি বইটি লিখেছি এবং এটি খুব সহজ ছিল।

মা মৌজার মতে, সাঈদ সহজ ও সোজা ভাষায় গল্পটা লিখেছে। গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তার লেখা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও দেখেছে। যাচাইবাছাই শেষে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এ কাজে সাঈদের সবচেয়ে বড় সমর্থক এবং পরামর্শদাতা তার ৮ বছর বয়সী বড় বোন আলধাবি। সেও একটি দ্বিভাষিক বইয়ের সিরিজ (মহিলা) প্রকাশ করার জন্য সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হওয়ার রেকর্ড করেছে।

বোন আলধাবি জানায়, ইতোমধ্যে সাঈদের বইটির হাজার কপি বিক্রি হয়ে গেছে। তারা শিশুদের নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। যেখানে সাঈদের বন্ধু এবং সহপাঠীরা উপস্থিত ছিল। এদিন তারা সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল, যতক্ষণ না সব বই শেষ হয়। পরে তারা স্কুলে একটি আনন্দ আয়োজন করে, যা ছিল খুবই স্পেশাল।

আলধাবি আরও জানায়, তাদের বেশ কয়েকজন সহপাঠী যারা বইটি কিনেছে তারাও একটি বই লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এটাই সবচেয়ে বড় জয়।

সে বলেছে, এটি সেই বার্তা যা আমরা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি শিশুই লিখতে পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। সবাই লিখতে পারে এবং বিশ্ব রেকর্ডও করতে পারে। আমরা আরও শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে চাই যাতে এমন একটি নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারি যারা বইয়ের প্রতি অনুরাগী। সূত্র: খালিজ টাইমস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

৪ বছর বয়সে বই লিখে বিশ্বরেকর্ড গড়ল সাঈদ

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

৪ বছর বয়স! খেলাধুলা অথবা বর্ণমালা শিখে কাটে এ বয়স। ৪ বছর বয়সে এরচেয়ে বেশি কী আর করা যায়? তবে বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাত্র ৪ বছর বয়সেই পুরো একটি বই লিখেছে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাঈদ রশিদ আলমেহেরি নামের এক শিশু। এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী (পুরুষ) হিসেবে বই লেখার বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছে সে।

তার বইটির নাম ‘দ্য এলিফেন্ট সাঈদ অ্যান্ড দ্য বিয়ার’। বইটিতে হাতি ও ভালুক এ দু’টি প্রাণীর মধ্যে অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্ব এবং রাগের ওপর উদারতার জয়ের গল্প লেখা হয়েছে।

বইটিতে ঘৃণা ও ক্রোধের বিপরীতে দয়ার বা মানবিকতার জয়ের কথা বলা হয়েছে। সেখানে দুটি প্রাণীর অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্বের গল্প উঠে এসেছে।

শিশু সাঈদের মা মৌজা আল দারমাকি বলেছেন, যখন সে আমাদের গল্পটা বলল, আমরা অবিভূত হয়ে গেলাম। তার একটা পরিষ্কার আইডিয়া ছিল এই গল্পটা সম্পর্কে, সে কি বলতে চায় তা সে জানত। সাঈদ বইটি শুধু লেখেনি, চিত্রিতও করেছে। খালিজ টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সে বলে, আমি বইটি লিখেছি এবং এটি খুব সহজ ছিল।

মা মৌজার মতে, সাঈদ সহজ ও সোজা ভাষায় গল্পটা লিখেছে। গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষ তার লেখা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও দেখেছে। যাচাইবাছাই শেষে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এ কাজে সাঈদের সবচেয়ে বড় সমর্থক এবং পরামর্শদাতা তার ৮ বছর বয়সী বড় বোন আলধাবি। সেও একটি দ্বিভাষিক বইয়ের সিরিজ (মহিলা) প্রকাশ করার জন্য সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হওয়ার রেকর্ড করেছে।

বোন আলধাবি জানায়, ইতোমধ্যে সাঈদের বইটির হাজার কপি বিক্রি হয়ে গেছে। তারা শিশুদের নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। যেখানে সাঈদের বন্ধু এবং সহপাঠীরা উপস্থিত ছিল। এদিন তারা সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল, যতক্ষণ না সব বই শেষ হয়। পরে তারা স্কুলে একটি আনন্দ আয়োজন করে, যা ছিল খুবই স্পেশাল।

আলধাবি আরও জানায়, তাদের বেশ কয়েকজন সহপাঠী যারা বইটি কিনেছে তারাও একটি বই লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এটাই সবচেয়ে বড় জয়।

সে বলেছে, এটি সেই বার্তা যা আমরা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি শিশুই লিখতে পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। সবাই লিখতে পারে এবং বিশ্ব রেকর্ডও করতে পারে। আমরা আরও শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে চাই যাতে এমন একটি নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারি যারা বইয়ের প্রতি অনুরাগী। সূত্র: খালিজ টাইমস।