Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারি: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনায় থাকেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ফক্স নিউজে সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বন্দ্ব চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করতে পারেন। এর জন্য শান্তি আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন তিনি। কিন্তু এই যুদ্ধের সমাপ্তির মন্ত্র কী, তা উল্লেখ করেননি।

সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ নাগাদ ইউক্রেন যুদ্ধ যদি শেষ না হয় এবং তিনি যদি নির্বাচিত হয়ে ফের হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যান, তবে মাত্র ‘একদিনের মধ্যে’ শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার নিজের মধ্যে আলোচনা ‘সহজ’ হবে।

আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প বলেন, যদি সমাধান না হয়, আমি জেলেনস্কি ও পুতিনের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর সমাধান করবো। ‘খুব সহজ’ আলোচনা হবে। তবে সেটি কী হবে তা এখনই বলতে চাই না, কারণ তাহলে এটি আমি আর কাজে খাটাতে পারবো না।

তিনি বলেন, খুব সহজ একটি আলোচনার জায়গা রয়েছে। আমি একদিনের ভেতর এর সমাধান করবো, তাদের মধ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

তবে গত সোমবারের (২৭ মার্চ) ওই সাক্ষাৎকারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, তার সেই শান্তি আলোচনা আগামী দেড় বছরের মধ্যে শুরু হবে না। এটি দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্ভাব্য ‘পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধের’ বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালে আমি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

পুতিন ইতোমধ্যে মিত্র বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন, তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না বলেও জানিয়ে দেন। রুশ প্রেসিডেন্টের এমন পরিকল্পনায় কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতারা।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের নির্বাচনের আগে এই বিষয়টির যদি সমাধান না হয়- যা হবেও না, এটি সম্ভব যে, আমরা হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে থাকবো। এই বোকারা যা করছে তাতে আপনি একটি পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে পৌঁছাতে পারেন, যার কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে প্যাটি কেকের (ঠুনকো বিষয় বোঝাতে) মতো দেখাবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। চলমান যুদ্ধে রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারি: ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনায় থাকেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ফক্স নিউজে সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বন্দ্ব চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করতে পারেন। এর জন্য শান্তি আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন তিনি। কিন্তু এই যুদ্ধের সমাপ্তির মন্ত্র কী, তা উল্লেখ করেননি।

সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ নাগাদ ইউক্রেন যুদ্ধ যদি শেষ না হয় এবং তিনি যদি নির্বাচিত হয়ে ফের হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যান, তবে মাত্র ‘একদিনের মধ্যে’ শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার নিজের মধ্যে আলোচনা ‘সহজ’ হবে।

আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প বলেন, যদি সমাধান না হয়, আমি জেলেনস্কি ও পুতিনের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর সমাধান করবো। ‘খুব সহজ’ আলোচনা হবে। তবে সেটি কী হবে তা এখনই বলতে চাই না, কারণ তাহলে এটি আমি আর কাজে খাটাতে পারবো না।

তিনি বলেন, খুব সহজ একটি আলোচনার জায়গা রয়েছে। আমি একদিনের ভেতর এর সমাধান করবো, তাদের মধ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

তবে গত সোমবারের (২৭ মার্চ) ওই সাক্ষাৎকারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, তার সেই শান্তি আলোচনা আগামী দেড় বছরের মধ্যে শুরু হবে না। এটি দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্ভাব্য ‘পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধের’ বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালে আমি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

পুতিন ইতোমধ্যে মিত্র বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন, তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না বলেও জানিয়ে দেন। রুশ প্রেসিডেন্টের এমন পরিকল্পনায় কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতারা।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের নির্বাচনের আগে এই বিষয়টির যদি সমাধান না হয়- যা হবেও না, এটি সম্ভব যে, আমরা হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে থাকবো। এই বোকারা যা করছে তাতে আপনি একটি পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে পৌঁছাতে পারেন, যার কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে প্যাটি কেকের (ঠুনকো বিষয় বোঝাতে) মতো দেখাবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। চলমান যুদ্ধে রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি।