নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের দূ’ধারে দখলে ফুটপাতের জায়গা এখন অবৈধ দখলদারদের কবলে। ফুটপাতের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকান। ফলে ট্রেনের যাত্রী সাধারনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের ফুটপাতের জায়গা দিয়ে চলাচল বা হাঁটার মত পথ নেই বললেই চলে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই জায়গা দখল করে দোকান ভাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে। উচ্ছেদ অভিযান না চালানোর ফলে দোকানগুলোর স্থায়ী অবস্থা তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল পথের এক সময়ের পরিচিত উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন লাইনের দু’পাশের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান পাট, হোটেল, চাস্টল, মাছের দোকান, দই-মিস্টির দোকান,মৌসুমী ফলের দোকান। স্থানীয় এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা নানা রকম অবৈধ দোকান পাট,হোটেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির ঘর তুলে অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়েছে। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জায়গা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদারকির অভাবে ফুটপাতের জায়গা বেদখল হয়ে আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় এসব সম্পত্তি নিজের মতো করে ব্যবহার করছেন। তবে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, উচ্ছেদের কিছু দিন পরই দোকান গড়ে তুলে দখলদারেরা।
স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের গড়ে ওঠা এসব দোকান পাট থেকে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে মাসোহারা চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। করা হচ্ছে। দখলদাররা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।
লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, লাইনের দুই পাশের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অনেক ভ্রাম্যমাণ দোকান ও হোটেল। স্থানীয় কিছু লোকজন দীর্ঘদিন ধরে রেলের সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। দখলদারেরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেক দোকানী জানান, রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে অসংখ্য দোকান পাট রয়েছে। সকল জায়গাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জায়গা। প্রভাবশালীরা ক্ষমতা খাটিয়ে রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেখেছে। দীর্ঘদিন তাদের দখলে থাকায় এখন এগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতোই হয়ে গেছে। রেললাইনের দুই পাশে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করা হয়। এই টাকা বিভিন্ন মহলের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হয়।
রেল বিভাগের আমিনের দায়িত্ব পালন করেন মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেলের বেদখল সম্পত্তি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে বাজেট দরকার। পাকশী বিভাগে অবৈধ দখল উচ্ছেদে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয়, সরকার সে পরিমাণ বাজেট দেয় না। এ জন্য সব জায়গায় কর্তৃপক্ষ অভিযান চালাতে পারে না।
লাহিড়ী-মোহনপুর স্টেশন মাস্টার আব্দুল হামিদ জানান, রেলওয়ে স্টেশনের দু’ধারে রেলওয়ের জায়গায় স্থানীয়রা অনেক দোকান পাট তুলে ব্যবসা করে আসছে। ইতিপুর্বেও উচ্ছেদ অভিযান হয়েছিল, কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার তারা দোকান পাট বসিয়েছে। তবে এখানে কোন চাঁদা নেয়ার অভিযোগ নেই। তবুও নাগরিক ও যাত্রী সাধারনের ট্রেনে যাতায়াতে যেন কোন প্রকার ভোগান্তি না হয়, সেই বিষয়টি আমরা দেখছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক 

























