Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ত্রিপুরা রেল যোগাযোগ শুরু হবে শিগগির : পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে শিগগির। চালু হবে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ। প্রকল্পটির ভারতীয় অংশ পরিদর্শন করে এই আশা ব্যক্ত করেছেন পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

রোববার (২৬ মার্চ) আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে দুই প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পরপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দুই দেশের মানুষই দারুণ উপকৃত হবেন।

এদিন আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে নিশ্চিন্তপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন নতুন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথমবার প্রকল্পটি পরিদর্শনে যান তিনি।

সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আগরতলা-আখাউড়া হয়ে কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। এতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

ভারত ও বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব উভয়ই কমিয়ে আনবে। মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় যেতে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে মাত্র ১০ ঘণ্টা। দূরত্বও ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার থেকে কমে ৫৫০ কিলোমিটার হবে।

সুশান্ত জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের মুখে ভারতীয় অংশের নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বাধুনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে স্টেশনটি।

তিনি বলেন, নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের পাশেই পণ্য ওঠানামা করানোর জন্য রেল ইয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রেনে আসা কনটেইনারগুলো নামানোর ব্যবস্থা করা হবে এখানে। এরপর সড়কপথ ধরে কিংবা ভারতীয় ট্রেনে পণ্যগুলো উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো সম্ভব হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

বাংলাদেশ-ত্রিপুরা রেল যোগাযোগ শুরু হবে শিগগির : পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে শিগগির। চালু হবে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ। প্রকল্পটির ভারতীয় অংশ পরিদর্শন করে এই আশা ব্যক্ত করেছেন পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

রোববার (২৬ মার্চ) আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে দুই প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পরপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দুই দেশের মানুষই দারুণ উপকৃত হবেন।

এদিন আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে নিশ্চিন্তপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন নতুন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথমবার প্রকল্পটি পরিদর্শনে যান তিনি।

সুশান্ত চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আগরতলা-আখাউড়া হয়ে কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। এতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

ভারত ও বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব উভয়ই কমিয়ে আনবে। মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় যেতে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে মাত্র ১০ ঘণ্টা। দূরত্বও ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার থেকে কমে ৫৫০ কিলোমিটার হবে।

সুশান্ত জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের মুখে ভারতীয় অংশের নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বাধুনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে স্টেশনটি।

তিনি বলেন, নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের পাশেই পণ্য ওঠানামা করানোর জন্য রেল ইয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রেনে আসা কনটেইনারগুলো নামানোর ব্যবস্থা করা হবে এখানে। এরপর সড়কপথ ধরে কিংবা ভারতীয় ট্রেনে পণ্যগুলো উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো সম্ভব হবে।