Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি দুই দেশের জনগণের গভীর মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করেন।

(মঙ্গলবার) ২১ মার্চ এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। সোমবার (২৭ মার্চ) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে অনুধাবন করেন। কারণ, ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য বেছে নিতে এবং নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।

বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ যখন তার পরবর্তী নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে আসছে, তখন আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমাদের উভয় দেশের জনগণ গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি গভীর মূল্যবোধ রাখে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ আয়োজনের জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাদের সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে। আপনাদের সহানুভূতি এবং উদারতা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করা এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।

৫০ বছরের বেশি সময়ের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের ৫০ বছরের বেশি কূটনৈতিক সম্পর্কে দুই দেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে। এর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি।

‘উদযাপনের এই দিনে, আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার এই আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। জয় বাংলা!’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের শুভেচ্ছা

প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুভেচ্ছা বার্তায় বাইডেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি দুই দেশের জনগণের গভীর মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করেন।

(মঙ্গলবার) ২১ মার্চ এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। সোমবার (২৭ মার্চ) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে অনুধাবন করেন। কারণ, ১৯৭১ সালে তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য বেছে নিতে এবং নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।

বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ যখন তার পরবর্তী নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে আসছে, তখন আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমাদের উভয় দেশের জনগণ গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি গভীর মূল্যবোধ রাখে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ আয়োজনের জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাদের সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে। আপনাদের সহানুভূতি এবং উদারতা বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করা এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।

৫০ বছরের বেশি সময়ের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের ৫০ বছরের বেশি কূটনৈতিক সম্পর্কে দুই দেশ একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করেছে। এর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি।

‘উদযাপনের এই দিনে, আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার এই আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। জয় বাংলা!’